১০ ফুটের ব্যবধানে তৃণমূল-বিজেপির মঞ্চ, নন্দীগ্রামে কর্মসূচি ঘিরে কুণাল-শুভেন্দু তরজা
- Published by:Uddalak B
- Written by:VENKATESHWAR LAHIRI
Last Updated:
দিনটি ছিল ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর। সেদিন পুলিসকে নিষ্ক্রিয় রেখে গ্রামবাসীদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে।
#নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রাম দিবস। শহিদ স্মরণ। এ নিয়ে সম্মুখ সমরে তৃণমূল-বিজেপি। দশ ফুট দূরত্বে দুই শিবিরের মঞ্চ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে জোর টক্কর। ১০ ফুটের ব্যবধানে তৃণমূল-বিজেপির মঞ্চ। অপারেশন সূর্যোদয়ের ১৫ বছর। সেই উপলক্ষ্যে নন্দীগ্রামে বিজেপি-তৃণমূলের কর্মসূচি। শহীদ-স্মরণ। বৃহস্পতিবার, নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের করপল্লিতে দুই দলেরই মঞ্চ। নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে।
দিনটি ছিল ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর। সেদিন পুলিসকে নিষ্ক্রিয় রেখে গ্রামবাসীদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। শোরগোল ফেলে দেয় বিমান বসুর ‘নন্দীগ্রামের নতুন সূর্যোদয়’ মন্তব্য। বছর বছর এই দিনটিতে নন্দীগ্রাম ফিরে যায় ২০০৭ সালে। এ দিন বিজেপি ও তৃণমূলের আলাদা আলাদা সময়ে কর্মসূচি। শুভেন্দুর সভা বিকেলে। তার আগে তৃণমূল প্রভাবিত ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভা সকালে। এই অনুষ্ঠানেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। একদল রে রে করে তেড়ে যায়। তাঁদের প্রশ্ন, কেন বিজেপি থেকে যাঁরা তৃণমূলে এসেছেন, তাঁদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কেন তাঁদের মঞ্চে তোলা হয়েছে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট খবর! এবার চিটফান্ড কাণ্ডে তৃণমূল নেতাকে তলব CBI-এর! তোলপাড় বাংলা
মঞ্চে তখন পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর সামনেই চলে তুমুল বিক্ষোভ। বেধে যায় ধস্তাধস্তি। ক্ষোভ সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তৃণমূল নেতৃত্বকে। মঞ্চ থেকে নেমে কুণাল ঘোষ পরিস্থিতি শান্ত করেন'। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, অস্বীকার করার জায়গা নেই যে বিরোধ হয়েছে। কিন্তু কেউ ছেড়ে তো যায়নি'। তবে মঞ্চ থেকে কুনাল ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'যাঁরা এসব পণ্ড করতে পাঠিয়েছে তাদের বলে রাখছি, এই ধরনের যদি কাজ এখানে হয়, তবে বিজেপির মঞ্চ উপড়ে ফেলে দিয়ে আসবো'। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও সুর চড়ান কুণাল।
advertisement
পাল্টা শুভেন্দুও একহাত নেন। তৃণমূলের কাজিয়া প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কুণাল প্রসঙ্গে কটাক্ষ,' কলকাতা থেকে চোরকে পাঠিয়েছে নন্দীগ্রামে। শহিদ স্মরণে এক ঝুড়ি লোক এনে আবার ধরনাতেও বসেছিলেন। পালিয়ে গেলেন কেন? থাকলে শহিদ বেদীর সামনের পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিত'। এক সময় ঘাসফুলের মঞ্চের সামনে থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে গো ব্যাক স্লোগান ওঠে। তৃণমূল কর্মীদের হাতেও তখন ‘শুভেন্দু গো ব্যাক’ পোস্টার। তা নিয়ে শুভেন্দু বললেন, কলকাতা থেকে পোস্টার ছাপিয়ে নিয়ে এসেছে। নন্দীগ্রাম কাকে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েই তা প্রমাণ করেছে'।
advertisement
ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ শুনতে মাইক্রোফোন এগিয়ে দেন কুণাল ঘোষ। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল কর্মীরা'। শুভেন্দু অধিকারীকেও এদিন দেখা যায় কুণাল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মাইক্রোফোন সভায় আসাদের সামনে এগিয়ে দিতে। তখন কুণাল চোর, কুণাল চোর বলে স্লোগান দেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এভাবেই নন্দীগ্রাম দিবসকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক পারদ চড়ল জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রামে।
advertisement
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
November 10, 2022 9:53 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
১০ ফুটের ব্যবধানে তৃণমূল-বিজেপির মঞ্চ, নন্দীগ্রামে কর্মসূচি ঘিরে কুণাল-শুভেন্দু তরজা