Hug Day: 'হাগ' করলেই যা করছে এই যুবক! অবিশ্বাস্য কাণ্ড

Last Updated:

শুধু আলিঙ্গনের বিকল্প আছে তা নয়, বৃক্ষরোপনের ভাবনার বিরোধী যদি কেউ হয়ে থাকেন অর্থাৎ গোটা বিষয়টি অপছন্দ হলে রয়েছে 'স্ল্যাপ মি' অপশন

+
বাঁকুড়া

বাঁকুড়া স্টেশনে প্ল্যাকার্ড হাতে যুবক

বাঁকুড়া: রমরমিয়ে চলছে ভ্যালেন্টাইন্স সপ্তাহ। বরাবরের মতোই ৭ ফেব্রুয়ারি রোজ ডে অর্থাৎ গোলাপ দিবস দিয়ে শুরু হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতা মেনে সোমবার অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারি হাগ ডে বা আলিঙ্গন দিবস পালন করছে প্রেমিক-প্রেমিকারা। ভালোবাসার সপ্তাহের আলিঙ্গন দিবসের দিন এবার এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা গেল বাঁকুড়ায়। এক যুবক হাতে ‘হাগ মি’ অর্থাৎ ‘আমাকে আলিঙ্গন করুন’ পোস্টার নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেন রাস্তায়। এই দৃশ্য দেখে কেউ হেসে কুটোপুটি খেলেন, আবার কারোর চোখ হয়ে গেল ছানাবড়া।
আলিঙ্গন দিবসের এমন অবাক কাণ্ডকারখানার পিছনের আসল গল্পটা বেশ মজার এবং অনুপ্রেরণার। বাঁকুড়া জেলার খাতড়ার বেনা গ্রামের বাসিন্দা রাকেশ দাস। বছর ২৩-এর এই যুবকের ভ্যালেন্টাইন হল প্রকৃতি। পরিবেশকে রক্ষা করে গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বৃক্ষরোপণের কথা বলে বাঁকুড়া জেলার নানান প্রান্তে ঘুরে বেড়ান তিনি। সঙ্গে থাকে মেহগিনি, পিয়াশাল, সেগুন এবং পেয়ারা গাছের চারা। তাঁকে সমর্থন করে কেউ এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরলেই বিনামূল্যে একটি চারা গাছ উপহার দেন রাকেশ।
advertisement
advertisement
তবে এখানে যে শুধু আলিঙ্গনের বিকল্প আছে তা নয়, বৃক্ষরোপনের ভাবনার বিরোধী যদি কেউ হয়ে থাকেন অর্থাৎ গোটা বিষয়টি অপছন্দ হলে রয়েছে ‘স্ল্যাপ মি’ অপশন। মানে রাকেশের ভাবনার সঙ্গে একমত না হলে আপনি গিয়ে তাকে চড় মারতে পারেন! তবে আজ‌ও পর্যন্ত সেটা কেউ করেননি বলে জানিয়েছেন রাকেশ দাস।
পরিবেশকে রক্ষা করতে রাকেশ দাসের এমন ভাবনা ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। কিন্তু তাঁর চলার পথটা মোটেও সহজ নয়। করোনার সময় স্মার্টফোন ছিল না বলে অনলাইনে ক্লাস করতে পারেননি। তাই উচ্চমাধ্যমিকের পর পড়াশোনা থেমে যায়। বাড়িতেও নেই সম্পূর্ণ আর্থিক সচ্ছলতা। রাকেশের বাবা বিক্রি করেন। সেই কাজে রাকেশ’ও মাঝেমধ্যে হাত লাগায়। তার সঙ্গে কলকাতার কিছু পত্রিকায় লেখা লেখিও করেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে চ্যানেল তৈরি করে ‘সোশ্যাল এক্সপেরিমেন্ট’ করেন রাকেশ দাস। পরিবেশ সচেতনতার এই প্ল্যাকার্ডও সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষারই একটি অংশ। বাঁকুড়া স্টেশনের সামনে রাকেশের কাছে বিনামূল্যে মেহগিনি গাছের চারা পেয়ে আপ্লুত হলেন বন্দনা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি ভাবতেই পারিনি। দূর থেকে দেখছিলাম। পরে বিষয়টা বুঝে এগিয়ে এলাম। আমি নিজেও গাছ ভীষণ ভালবাসি।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
সব আলিঙ্গন‌ই যে কেবল প্রেমের সম্পর্কের তা নয়। তার থেকেও বৃহত্তর স্বার্থ জড়িয়ে থাকে অনেক জড়িয়ে ধরায়। সেই বার্তাই দিয়ে চলেছেন বাঁকুড়ার যুবক রাকেশ
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Hug Day: 'হাগ' করলেই যা করছে এই যুবক! অবিশ্বাস্য কাণ্ড
Next Article
advertisement
SIR Update: কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও, কীভাবে জানবেন ভোটার? বাড়িতে না থাকলে কি SIR-এ নাম কাটা যাবে? জবাব দিল কমিশ
কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও, কীভাবে জানবেন ভোটার? বাড়িতে না থাকলে কি নাম কাটা যাবে? জেনে নিন
  • এসআইআর নিয়ে আশ্বস্ত করল নির্বাচন কমিশন৷

  • কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও?

  • নাম কাটা যাওয়ার ভয় দূর করলেন রাজ্যের সিইও৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement