Howrah News: হাজার মানুষের পোশাকের ভরসা 'স্বপ্ন পূরণ'! হাওড়ার এই বিশাল কর্মকাণ্ড শেখাল মানবিকতা

Last Updated:

স্বপ্ন পূরণ ওদের! স্বপ্নপূরণের হাত ধরেই হাজারো মানুষের স্বপ্ন। ভবঘুরেদের খাবার জোগাড় থেকে বহু মানুষের শরীর ঢাকতে পোশাক ভরসা 'স্বপ্ন পূরণ '।

+
হাওড়ার

হাওড়ার এই বিশাল কর্মকাণ্ড শেখাল মানবিকতা

হাওড়া: স্বপ্ন পূরণ ওদের! স্বপ্নপূরণের হাত ধরেই হাজার হাজার মানুষের স্বপ্ন। ভবঘুরেদের খাবার জোগাড় থেকে বহু মানুষের শরীর ঢাকতে পোশাক ভরসা 'স্বপ্ন পূরণ '। সোম বুধ শুক্রবার সপ্তাহে তিনটে দিন। সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত খোলা থাকে বাগনান নাওপালা গ্রামের ‘স্বপ্ন পূরণের’ কাউন্টার। বহু মানুষ আসেন পোশাক নিতে। এক একদিনে ৩০০ থেকে ৪০০ পোশাক নিয়ে যায় ওরা। ওদের মধ্যে কেউ দিনমজুর কেউ প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করা পিছিয়ে পড়া মানুষ। আবার কেউবা ইট ভাটির শ্রমিক।
শিশুদের পোশাক থেকে বয়স্ক মানুষদের জন্য পুরনো পোশাকের বিপুল সম্ভার। পুরনো ব্যবহারযোগ্য পোশাক তাক দিয়ে রাখা। ওরা আসে ওদের ইচ্ছা খুশী অনুযায়ী পোশাক বেছে নিয়ে ফিরে যায় বাড়ি। এই কর্মকাণ্ডের সূচনা ২০১৮ সালে। বাগনান নাওপালার বাসিন্দা আনন্দ মুখার্জির হাত ধরে। যাকে পম্পা দা বা পম্পা মুখার্জী বলে মানুষ বেশি চেনেন।
advertisement
advertisement
২০১৮ সাল তখন সবে পম্পা মুখার্জির স্ত্রী গত হয়েছেন। বলা চলে মানসিক ভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। স্ত্রীর চলে যাওয়াটা খুব সহজে মেনে নিতে পারেননি। শোকে জর্জরিত হয়ে নিজেকে সমাজের থেকে অনেকখানি আলাদা করে রেখেছিলেন। তবে সেখানে আশ্চর্যজনক ভাবে জীবনের দিক পরিবর্তন। সেদিন দুর্গাপুজোর বোধন। জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় একটা ঘটনা। জানালেন আনন্দ মুখার্জি ওরফে পম্পাদা।
advertisement
বাড়ি থেকে হাঁটা পথের দূরত্বে জাতীয় সড়ক। সড়কের পার্শ্ববর্তী বনের মধ্যে রয়েছে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা। দুর্গা পুজোর দিন, মহিলার অঙ্গে ছিল না কোন পোশাক। ভাইয়ের সহযোগিতাতে মহিলার অঙ্গে পোশাক এবং ক্ষুধার্ত মহিলাকে খাবার খাইয়ে। যে তৃপ্তি পেয়েছিলাম তা ভোলার না। সেই থেকেই এই কর্মকাণ্ডের সূচনা। সেই থেকে প্রতিদিন হলদিয়া থেকে বাগনান লাইব্রেরি মোড় পর্যন্ত। জাতীয় সড়কের ধার ও পোলের নিচে আশ্রয়ে থাকা ভবঘুরেদের খাবার নিজে হাতে খাওয়াই। এ এক পরম তৃপ্তি!
advertisement
তিনি বলেন, ‘ নিজের খাবার থেকেও বহু গুণ বেশি সুখ, ওদের খাইয়ে। প্রথম দিকে নিজেদের পোশাক দিয়ে ওদের শরীর ঢেকেছি। তার পর একটা সময় মনে হয় নিজেদের পোশাক জোগানো আর সম্ভব নয়। তারপর সকলের কাছে সহযোগিতা নিয়ে আরও বেশি করে মানুষের জন্য পোশাক মজুত করা শুরু করেছি। বর্তমানে বহু মানুষ কলকাতা টালিগঞ্জ ও হাওড়া শহর থেকে গাড়ি করে এসে পোশাক দিয়ে যান বস্তা বস্তা। সেগুলো সযত্নে রাখি, স্বপ্ন পূরণের কাউন্টারে। সেখানে পোশাক নিতে আসেন বহু মানুষ। আবার সপ্তাহে দুদিন সেই পোশাক নিয়ে আমরা চলে যাই ইট ভাটিতে। কাউন্টারে কয়েকজন নিয়মিত সন্ধ্যায় আড্ডার ছলে পোশাক গুছিয়ে রাখেতে আসে।ওদের মধ্যে একজন হলেন নীলাঞ্জন মুখার্জি।’
advertisement
তিনি জানান, খুব আনন্দের সঙ্গে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বপ্ন পূরণে কাজ করে চলেছি। ২০১৮ সালে প্রথম পথ চলা শুরু দাদার সঙ্গে। নিজেদের পোশাক দিয়ে পথ চলা শুরু হলেও বর্তমানে শহর থেকে অনেকেই আসেন পোশাক দিতে। আবার এখান থেকে পোশাক নিয়ে অন্যত্র দেওয়ার জন্য কয়েকজন মানুষ এসে পোশাক নিয়ে যান।
রাকেশ মাইতি
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Howrah News: হাজার মানুষের পোশাকের ভরসা 'স্বপ্ন পূরণ'! হাওড়ার এই বিশাল কর্মকাণ্ড শেখাল মানবিকতা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement