হাজার বছরের 'নীরব সাক্ষী' আঝাপুরের সাত দেউল! আজও অনেকে জানেন না এই মন্দিরের ইতিহাস

Last Updated:

আঝাপুরের সাত দেউলের মতো এই ধরণের স্থাপত্য বাংলার ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তুলে ধরে

+
আঝাপুরের

আঝাপুরের সাত দেউলের মধ্যে মাত্র একটি টিকে রয়েছে

মেমারি, সায়নী সরকারঃ পাল যুগের আগে পুরুলিয়া-বাঁকুড়া-বর্ধমানে জৈন ধর্মের প্রভাব ছিল অপরিসীম। সেই সময় বাংলার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বহু জৈন মন্দির। তেমনই একটি মন্দির হল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির আঝাপুরের সাত দেউল। প্রায় ৩৫ ফুট উচ্চতার একটি টাওয়ার, গায়ে সুন্দর কারুকার্য। প্রায় হাজার বছরের অধিক পুরনো এই মন্দির। জানা যায়, একসময় এখানে সাতটি দেউল ছিল। এর মধ্যে ছয়টি বিলীন হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে একটি দেউল টিকে আছে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার মতে, আনুমানিক দশম শতাব্দীতে এই মন্দির তৈরি হয়েছিল। যদিও দেউলের ভিতর কোন মূর্তি বা বিগ্রহ নেই।
‘দেউল’ শব্দের অর্থ ‘দেবালয়’। দেউলগুলি প্রায় হাজার বছরেরও বেশি পুরনো কিন্তু কালের প্রকোপে অধিকাংশই বর্তমানে ধ্বংসপ্রায়। বর্ধমান শহরের অদূরে মেমারির আঝাপুরে এমনই একটি দেউল রয়েছে। বার্ধক্যের ছাপ পড়লেও এখনও মাথা তুলে অতীতের স্মৃতিচারণ করে চলেছে এই দেউলটি।
আরও পড়ুনঃ ছাতা মাথায় রান্না, ঘরে ঢুকে যায় সাপ! কালনার এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অবস্থা দেখলে আঁতকে উঠবেন
জানা যায়, একসময় এখানে সাতটি দেউল ছিল। কিন্তু বর্তমানে একটিই টিকে রয়েছে। এই মন্দির কে নির্মাণ করেছিলেন তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। ইতিহাসবিদ সর্বজিৎ যশ জানান, লোকগল্পে পাওয়া যায় জায়গাটি স্থানীয় মোহনগড় বলা হত। রাজা মোহন নামে কোনও এক রাজা ওই এলাকায় রাজত্ব করতেন। এই এলাকাটি তাঁর গড় ছিল অর্থাৎ দুর্গ বা বসতি ছিল।তিনি নাকি এই মন্দিরগুলি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু এগুলি লোককথা, কোনও লিখিত ইতিহাসতত্ত্বে এইগুলি আমরা পাইনি। তবে এখান থেকে বেশ কিছু জৈন মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও জৈন আমলের একাধিক জিনিসও মিলেছে। এমনকি বেশকিছু মূর্তি মাটির তলায় পড়ে আছে বলেও মত স্থানীয় মানুষের।
advertisement
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আঝাপুরের সাত দেউলের মতো এই ধরণের স্থাপত্য বাংলার ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তুলে ধরে। পাল আমলের বৌদ্ধ ও সেন আমলের হিন্দু প্রভাবের আগে এই অঞ্চলে জৈন ধর্মের এক সমৃদ্ধ ইতিহাস ছিল, এই দেউলটি তার নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে এটি একটি গবেষণার বিষয়। কারণ এর নির্মাণকাল এবং নির্মাতা সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু অজানা। স্থানীয় লোককথা এবং ঐতিহাসিক তথ্যের মধ্যেকার এই ফারাকই মন্দিরটিকে আরও রহস্যময় এবং আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
হাজার বছরের 'নীরব সাক্ষী' আঝাপুরের সাত দেউল! আজও অনেকে জানেন না এই মন্দিরের ইতিহাস
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement