হাবড়া : "বারুইপুরের পেয়ারা, খেলেই হবে চেহারা"। এমনটাই হেঁকে হেঁকে ট্রেনে-বাসে পেয়ারা বিক্রি করেন বিক্রেতারা। এমন একটা সময় ছিল যখন পেয়ারা মানেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর। বর্তমানে তা পাল্টেছে। বারুইপুরেই যে পেয়ারা চাষ হয় এমনটা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই হচ্ছে পেয়ারার ফলন। এর স্বাদ ও গুণগতমান বেশ ভাল।
অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া অঞ্চলের ম্যারাকপুর ও ইছাপুর গ্রামের পেয়ারা চাষ নজর কেড়েছে। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলের পেয়ারা প্যাকেটজাত হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। চাহিদা রয়েছে ভিন রাজ্যেও। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার পেয়ারার সুমিষ্ট স্বাদই নাকি চাহিদা বাড়িয়েছে বাজারে। ফলে ভাল ফলন আর ভাল লাভ হওয়ায় অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরেছে এই অ়ঞ্চলের পেয়ারা চাষিদের। জেলার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে এই পেয়ারা পৌঁছে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : মাটির নীচে তুষের ধিকিধিকি আগুনে পাকানো হয় কাঁচা বেল
বলা যেতে পারে, অনেকেই সব্জি বা ধান চাষের পাশাপাশি পেয়ারা চাষে উৎসাহ দেখাতে শুরু করেছেন। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে পেয়ারা চাষ শুরু করেছিলেন ম্যারাকপুর ও ইছাপুর গ্রামের কৃষকরা। তখন ফলন ততটা না পেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানভিত্তিক চাষে পেয়ারার ফলন বেড়েছে অনেকটাই।
আরও পড়ুন : দু’টি যোনিতে দু’বার ঋতুস্রাব, একসঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা হতে পারেন দু’জনের দ্বারা!
এই গ্রামের মতো রাজ্যের নানা প্রান্তে চাষ হওয়া পেয়ারাই বাজারের বিশাল চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। কৃষি আধিকারিকদের পরামর্শ ও সাহায্যে আগের তুলনায় অনেক ফলন বেড়েছে বলে দাবি কৃষকদের। পেয়ারা চাষে তাদের উন্নতি হতেই চাষের প্রতি ভালোবাসা জন্মেছে বলে জানালেন এই গ্রামের কৃষকরা।
( প্রতিবেদন : রুদ্রনারায়ণ রায়)
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।