#দাসপুর: টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি না হলেও বেলা যত বাড়ছে, উদ্বেগ ততই বাড়ছে ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুরের বাসিন্দাদের। কারণ বেলা বাড়ার সাথে-সাথে শিলাবতী, কেঠিয়া, ঝুমি সহ সমস্ত নদীর জল স্তর বেড়ে বিপদসীমার উপরে দিয়ে বইছে। নদীগুলির পাড় ছাপিয়ে ইতিমধ্যে গ্রামগঞ্জে জল ঢুকতে শুরু করেছে। আর এক টানা বৃষ্টির ফলে মাটি নরম হয়ে ইতিমধ্যেই চন্দ্রকোনা ও ঘাটাল এলাকায় বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
এমনকী পুজো প্যান্ডেলে ঢুকেছে জল, বন্ধ হয়ে গেছে মন্ডপের কাজ। দুশ্চিন্তায় পড়েছে পুজো উদ্যোক্তারা। চন্দ্রকোনার বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও মনোহরপুর এলাকায় শিলাবতী নদীর বাঁধ নতুন করে ভাঙতে পারে বলে দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছে এলাকার মানুষজন। নদী বাঁধ যাতে না ভেঙ্গে সেই জন্য গ্রামের মানুষ বাঁধে মাটি দিয়ে উঁচু করতে তৎপর, এমনই ছবি উঠে এসেছে এদিন।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জলমগ্ন ছিল ঘাটাল ব্লক ও ঘাটাল পৌর এলাকা সহ দাসপুরের বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত। আবার নতুন করে যে এই সমস্ত এলাকা গুলি প্লাবিত হবে, তা নিশ্চিত এলাকার মানুষজন। এক কথায় সামনে পুজো আর পুজোর আগে যে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি এলাকাবাসীর পিছু ছাড়বে না, তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: মুখোমুখি যুযুধান দুই প্রার্থী, তারপর যা হল...অবাক জঙ্গিপুর
যদিও ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস এরই মধ্যে ঘাটালের ভেঙে যাওয়া বাড়ি গুলি পরিদর্শনে বেরিয়েছেন, এমনকী সব ধরণের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে পরিবার গুলিকে। এই পরিস্থিতিতে এলাকার সকল মানুষকে সকলের পাশে থাকার জন্য বলছেন তিনি। ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানান, সমস্ত দিকে নজর রাখছে ব্লকের বিডিও থেকে শুরু করে মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা। পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকার অনেক মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে স্কুলগুলিতে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।