East Medinipur: শিক্ষকদের কাঁধে নয়া দায়িত্ব! পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাড়ছে চিন্তা, স্কুলের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটার অভিযোগ অভিভাবকদের
- Published by:Sneha Paul
- hyperlocal
- Reported by:Saikat Shee
Last Updated:
East Medinipur: রাজ্যজুড়ে এসআইআরের কাজ শুরু হয়েছে। জেলা জুড়ে বিএলও হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকেরা। শিক্ষক-শিক্ষিকারা সরকারি এই দায়িত্বে যুক্ত থাকায় স্কুলের পঠনপাঠনে বিঘ্ন ঘটছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
তমলুক, সৈকত শীঃ এসআইআরের কাজে ব্যস্ত স্কুলের শিক্ষকেরা। বিদ্যালয়ে কীভাবে পঠনপাঠন হবে, এই নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা। রাজ্যজুড়ে এসআইআরের কাজ শুরু হয়েছে। ৪ নভেম্বর, মঙ্গলবার থেকে বুথ লেভেল অফিসারেরা নির্দিষ্ট এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিতরণ ও তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। জেলা জুড়ে বিএলও হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকেরা। ফলে স্কুলের পঠনপাঠনের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির শিক্ষকদের উপর এই কাজের চাপ এসে পড়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা সরকারি এই দায়িত্বে যুক্ত থাকায় স্কুলের পঠনপাঠনে বিঘ্ন ঘটছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া, মহিষাদল ও তমলুক সহ বিভিন্ন ব্লকের একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গিয়েছে এই চিত্র। এতদিন বহু প্রাথমিক বিদ্যালয় কোনও রকমে চলছিল। এবার শিক্ষকেরা নতুন করে বিএলও-এর দায়িত্ব পাওয়ায় চাপ বেড়েছে। কোনও কোনও স্কুলে এতদিন দু’টি ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের একসঙ্গে বসিয়ে শিক্ষকেরা পড়াশোনা চালাতেন। কিন্তু সেই শিক্ষকেরা এবার এসআইআরের কাজে বিএলও হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় কার্যত পাঠদান বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রথম রাস উৎসবে দিঘা জগন্নাথ ধামে ভক্তদের ঢল, দিনভর পালিত হল ভজন-কীতর্ন ও নানা কর্মসূচি
শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের মথুরী ২ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেমন প্রায় ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী ও ৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। সেই স্কুলের চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকা বিএলও হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। ফলে স্কুলে নিয়মিত ক্লাস চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। অভিভাবক নুরজাহান বিবি ও রফিক শাহ প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে বিকল্প ব্যবস্থা করে স্কুলের পড়াশোনা স্বাভাবিক রাখা যায়।
advertisement
advertisement
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার মণ্ডল বলেন, আমাদের ছয়জন শিক্ষকের মধ্যে চারজন এসআইআরের কাজে নিযুক্ত। ফলে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে ঠিকই, তবে সমন্বয় রেখে স্কুলের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে বিএলও দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকা বিউটি অধিকারী চক্রবর্তী জানান, সরকারি কাজের চাপ তো থাকবেই। তাই পরিকল্পনা করেই দু’টি দায়িত্ব সমানভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। শিক্ষকদের সামনে এখন একসঙ্গে দু’টি দায়িত্ব-সরকারি কাজ ও পড়ুয়াদের শিক্ষার মান বজায় রাখা। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় অভিভাবকমহল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা। তার আগেই বিএলও-র দায়িত্বে স্কুল শিক্ষকেরা। ফলে জেলা জুড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Purba Medinipur,West Bengal
First Published :
November 05, 2025 7:59 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Medinipur: শিক্ষকদের কাঁধে নয়া দায়িত্ব! পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাড়ছে চিন্তা, স্কুলের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটার অভিযোগ অভিভাবকদের
