Traditional Durga Puja: পঞ্চব্যঞ্জনের সঙ্গে পুজোর ভোগে পোড়া রুটি, পোড়া মাছ, লাল শাক! এই জমিদারবাড়ির ভোগ বৈচিত্রে ভরপুর
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- local18
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Traditional Durga Puja: পুজোর অন্যতম অঙ্গ বলা চলে পোড়া ভাত, রুটি ও পোড়া মাছের ভোগ। বর্তমানে দেবীর ভোগে সাজিয়ে দেওয়া হয় নানান ধরনের পঞ্চব্যঞ্জনে কিন্তু তার সঙ্গে দিতে হয় পোড়া রুটি, ভাত ও পোড়া মাছ।
পাঁশকুড়া, সৈকত শী: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ইতিহাস প্রসিদ্ধ অন্যতম রাজবাড়ি হল কাশীজোড়া পরগনার রাজবাড়ি। নিয়ম মেনেই প্রতিবছর দুর্গাপুজো করে আসছেন কাশীজোড়া রাজ পরিবারের সদস্যরা। দেবী মহামায়ার স্বপ্নাদেশে আসার পর থেকেই দুর্গাপুজোর সূচনা হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার কাশীজোড়া রাজবাড়িতে। যে পুজোর অন্যতম অঙ্গ বলা চলে পোড়া ভাত, রুটি ও পোড়া মাছের ভোগ। বর্তমানে দেবীর ভোগে সাজিয়ে দেওয়া হয় নানা ধরনের পঞ্চব্যঞ্জনে, কিন্তু তার সঙ্গে দিতেই হয় পোড়া রুটি, ভাত ও পোড়া মাছ।
মহালয়ার পরদিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকেই পাঁশকুড়ার এই কাশীজোড়া রাজবাড়ির পুজোর ঘটস্থাপন হয়। তৎকালীন ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, ওড়িশা রাজার কাছ থেকে উপহার স্বরূপ কাশীজোড়া পরগনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন পাঞ্জাবের গঙ্গানারায়াণ রায়ের উত্তরসুরিরা। মুঘল শাসন পার হয়ে ভারতে তখন ব্রিটিশ শাসন। দিন দিন আর্থিকভাবে দুর্বল হচ্ছে কাশীজোড়া পরগনা। কিন্তু কী করবেন, ভেবেই পাচ্ছেন না গঙ্গানারায়ণ রায়। কথিত, সেই সময় দেবী দশভুজা স্বপ্নে এসে গঙ্গানারায়ণকে বলেন তাঁর পুজো শুরু করার জন্য। তবেই সুন্দর ভাবে চলবে গঙ্গানারায়ণের রাজ্যপাট।
advertisement
কাশীজোড়া রাজবাড়ির পুজো সেকালের ঐতিহ্য আজও বহন করে চলে আসছে। কালের নিয়মে রাজবাড়ি বা রাজ্যপাট কিছুই নেই। আর্থিক প্রতিপত্তিও কমেছে। কমেছে পুজোর জাঁকজমক। কিন্তু আজও প্রথা মেনে পুজো হয়। কাশীজোড়া রাজপরিবারের সদস্য আদিত্যনারায়ণ রায় বলেন, ‘‘দাদু ঠাকুমার মুখে শুনেছি এই পুজো রীতিমতো উৎসবের আয়োজন করা হত। দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসত। কিন্তু এখন কোন রকমেই পুজো হচ্ছে। প্রাচীন রীতিনীতি একই রয়েছে। মহালয়ার পরের দিন থেকে ঘটস্থাপন করে শুরু হয় পুজো। সন্ধিপুজোর পর দেবীকে ভোগ দেয়া হয়। সেই ভোগে থাকে পোড়া ভাত, রুটি পোড়া মাছ ও লাল শাকের তরকারি। “
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : জরাজীর্ণ বাড়িতে কমেছে ৩০০ বছরের পুজোর জৌলুস, কিন্তু কালের গর্ভে তলিয়ে যায়নি ইতিহাস
কালের নিয়মে প্রাচীন বৈভব কিছুই নেই। রয়ে গেছে দুর্গাপুজোর রীতিনীতি। মহালয়ার পরের দিন কাশীজোড়া রাজ পরিবারের দুর্গাপুজোয় ঘট স্থাপনের সময় অস্ত্রশস্ত্র রাখা হয়। কারণ পুজোর শুরুর দিন থেকেই উৎসবের সময় বলে ধরা হয় তাই অস্ত্রশস্ত্র মায়ের পায়ে অর্পণ করা হয়। নিয়ম মতেই পুজো চলে আসছে। বর্তমানে পাঁশকুড়ার সুন্দরনগর গ্রামে কাশীজোড়া রাজ পরিবারের সদস্যদের বসবাস। আর সেখানেই আয়োজন করা হয় প্রতিবছর দুর্গাপুজো। আশেপাশের গ্রামের মানুষেরা এই পুজোয় শামিল হয়। অষ্টমীর দিন দেবীমাকে পুষ্পাঞ্জলি দেন রাজ পরিবারের সদস্য থেকে সাধারণ মানুষ।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
September 24, 2025 4:45 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Traditional Durga Puja: পঞ্চব্যঞ্জনের সঙ্গে পুজোর ভোগে পোড়া রুটি, পোড়া মাছ, লাল শাক! এই জমিদারবাড়ির ভোগ বৈচিত্রে ভরপুর