Jhargram News: টানা বর্ষণে বিচ্ছিন্ন ঝাড়গ্রামের বিনপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, ব্যাহত পঠনপাঠন থেকে জনজীবন
- Published by:Soumendu Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Tanmoy Nandi
Last Updated:
ভৈরববাঁকী ও তারাফেনী ব্যারাজ থেকে নিয়মিতভাবে ছাড়া জল ও ভারী বৃষ্টির ফলে টানা সাত দিন ধরে ডুবে রয়েছে ঢোলভাঙা ও নিশ্চিন্তপুর কজওয়ে। যার ফলে কড়াসাই, ঢোলভাঙ্গা, কুইলা, বাসাঝুড়ি সহ ১০-১৫ টি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
তন্ময় নন্দী, ঝাড়গ্রাম: পোশাক পরে বই খাতা নিয়ে ছাত্ররা তৈরি, কিন্তু স্কুলে ঝুলছে তালা। দেখা নেই শিক্ষক মহাশয়দের! তাহলে কি স্কুল থেকে বদলি না? তাও তো হননি, সরকারী ভাবে স্কুল বন্ধের নেই কোনও নির্দেশিকাও। তবুও প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে স্কুলে আসছেন না শিক্ষকরা, হলটা কী ঝাড়গ্রামে? কেন বন্ধ স্কুল? কেনই বা লাটে উঠেছে পাঁচ পাঁচটি স্কুলের পড়াশোনা? ঠিক কী কারণে বন্ধ স্কুল। কারণ জানলে সত্যিই অবাক হবেন!
তারাফেনী ও ভৈরববাঁকী নদীর জলস্তর বাড়ায় একাধিক কজওয়ে জলের তলায়। ফলে ঝাড়গ্রামের বিনপুর এক ও দুই নম্বর ব্লকের ১০-১৫ টি গ্রাম যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে। ১০ মিনিটের পথ আসতে সময় লাগছে দুই থেকে তিন ঘণ্টা। যার ফলে স্কুলমুখো হননি কিছু শিক্ষক যার ফলে সাত আট দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুল।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: অন্য রাজ্য থেকে এসে বাংলায় ঘটিয়েছিল ‘কাণ্ড’! ডায়মন্ড হারবারে মারাত্মক ঘটনা, শেষরক্ষা হল না
ঝাড়গ্রামের পাপটপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় মিলিত হয়েছে ভৈরববাঁকী ও তারাফেনী নদী। মিলনস্থল থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে ঢোলভাঙা ও নিশ্চিন্তপুর কজওয়ে। ভৈরববাঁকী ও তারাফেনী ব্যারাজ থেকে নিয়মিতভাবে ছাড়া জল ও ভারী বৃষ্টির ফলে টানা সাত দিন ধরে ডুবে রয়েছে ঢোলভাঙা ও নিশ্চিন্তপুর কজওয়ে। যার ফলে কড়াসাই, ঢোলভাঙ্গা, কুইলা, বাসাঝুড়ি সহ ১০-১৫ টি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এই গ্রামগুলিতে আসতে গেলে প্রায় ৫০-৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তি পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে। এক প্রকার নিরুপায় হয়েই শিক্ষকেরা স্কুলে আসতে পারেন নি। ফলে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে বিনপুর এক ও দুই নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি প্রাথমিক স্কুল। পড়ুয়াদের দাবি ব্রিজ হলে ভাল হয়। জল বেড়ে গেলে আমাদের স্কুল ও টিউশন যেতে অসুবিধা হয়।
advertisement
টানা বর্ষণের পর আবারও নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ ঝাড়গ্রামের বিনপুর এক ও দুই নম্বর ব্লকের প্রায় ১০-১৫ টি গ্রামে। অল্প বৃষ্টি হলেই বাস যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়। কাছে পিঠে নেই তেমন কোনও বাজার, দোকান পাট। জোটে না খাবার, খাবার আনতে ভরসা হাড়দা গ্রাম, বাধা একটাই সেটি নদী। নদীর জল উঠলে তারা বঞ্চিত হন স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকেও, এমনকি মুমূর্ষু রোগী কিংবা গর্ভবতী মহিলাদের কোনও কিছু ঘটনা ঘটে গেলে কিছু করার থাকে না বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
advertisement
টানা বর্ষণে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও মেদিনীপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত, ফুঁসছে একাধিক নদী। মঙ্গলবার মুকুটমণিপুর জলাধার প্রায় ২৭৬৬০ কিউসেক, তারাফেনী ব্যারাজ থেকে প্রায় ৪৫০০ কিউসেক এবং যাঁতাডুমুর জলাধার থেকে ১৫০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানান গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি কজওয়েটি ব্রিজে রূপান্তর হলেই মিটবে সমস্যা।কতগুলি বর্ষা পার হলে এই এলাকার বাসিন্দারা বর্ষার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ থেকে মুক্তি ঘটে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
First Published :
July 16, 2025 5:02 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Jhargram News: টানা বর্ষণে বিচ্ছিন্ন ঝাড়গ্রামের বিনপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, ব্যাহত পঠনপাঠন থেকে জনজীবন