#ঝাড়গ্রাম: শুরুটা চলতি শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে। জন্মের শংসাপত্রের নাম তৃপ্তি রায় অ্যাফিডেভিট করে বদলে হয়েছিল প্রগতি রায়। কিন্তু সেই নামই যে তার প্রগতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে তা ভাবেননি কেউই। আইন-কানুন যাই থাক না কেন যে বেসরকারি স্কুলে ছোট থেকে প্রগতির পড়াশোনা, সেই স্কুল এই নামবদল মানতে নারাজ।
এক্কা দোক্কা খেলতে খেলতে স্কুল থেকে ফেরার বয়সে, রোলকলে উপস্থিত বলার বয়সে স্কুল থেকেই নাম কাটা গেল ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর ৷ প্রায় স্কুলছুট ঝাড়গ্রাম শহরের প্রগতি রায়। আট মাস ধরে প্রশাসনের নানা দরজায় কড়া নাড়িয়েও লাভ হয়নি আজও।
প্রশাসনিক টালবাহানায় থমকে ছাত্রীর ভবিষ্যত। আট মাস ধরে স্কুলের মুখ দেখার সুযোগই নেই। স্কুলে যেতে চেয়েও যেতে পারছে না ঝাড়গ্রামের প্রগতি রায়। স্কুল থেকে প্রশাসন সব দরজার কড়া নেড়েও প্রতিশ্রুতি ছাড়া মেলেনি কিছুই। তাই এবার 'দিদিকে বলো'য় ফোন প্রগতির পরিবারের।
মেয়ের বছর নষ্ট হওয়ার ভয়ে মা ছুটে গিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। স্কুল পরিদর্শক, জেলা শাসক থেকে শিক্ষামন্ত্রী সবাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই। প্রগতির দাবি, তাঁকে পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরের স্কুলে ভর্তি হওয়ার কথা বলা হয়। এ বছরের ৫ই মে। গোপীবল্লভপুরে শিক্ষামন্ত্রী আসছেন শুনে ছুটে যান মা-মেয়ে। মেলে প্রতিশ্রুতিও। শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য সেদিনও বলেন, পছন্দের স্কুল না হলেও শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না ছাত্রী।
তবে প্রতিশ্রুতি মতো কাজ হয়নি। মে মাসের পর কেটে গিয়েছে আরও ৩ মাস। এখনও স্কুল পায়নি প্রগতি। তবে এখবর জানেন না জেলা স্কুল পরিদর্শক। পরে অবশ্য তিনি বলেন আজ বললেই কাল শহরের কোনও সরকারি স্কুলে ভর্তি করে দেবেন।
ভর্তি হয়ে যাবে, ভর্তি করে দেবেন একথা তো সব্বাই বলছেন কিন্তু প্রগতি যে এখনও ঘরে বসে, বছর নষ্টের আশঙ্কায়। শেষমেশ দিদিকে বলো তে ফোন করে মেয়ের অসহায় অবস্থার কথা জানিয়েছেন প্রগতির মা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Administrative problem, Education Minister, Jhargram Girl, Name change problem, School