'স্বাস্থ্য দত্তক' প্রকল্পে এই জেলা প্রশাসনের কর্তারা ঘুরে ঘুরে দত্তক নিচ্ছেন অপুষ্ট শিশুদের

Last Updated:

East Burdwan : গত কয়েক মাস ধরে জেলায় অপুষ্ট শিশুদের চিহ্নিত করার কাজ চালানো হয়। তাতে গত জুলাই মাসে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৪৪৩ টি অপুষ্ট শিশুকে চিহ্নিত করা হয়

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
বর্ধমান : অপুষ্ট শিশুদের চিহ্নিত করে দ্রুত তাদের স্বাভাবিক করে তোলার তৎপরতা শুরু করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। এজন্য অপুষ্ট শিশুদের দত্তক নিচ্ছেন প্রশাসনিক কর্তারা। ইতিমধ্যেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১২৬ টি অপুষ্ট শিশুকে দত্তক নিয়েছেন জেলা শাসক, বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও প্রধানেরা। এই শিশুরা যাতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি তাঁরা ওই শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
গত কয়েক মাস ধরে জেলায় অপুষ্ট শিশুদের চিহ্নিত করার কাজ চালানো হয়। তাতে গত জুলাই মাসে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৪৪৩ টি অপুষ্ট শিশুকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর সেই শিশুদের স্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা শুরু হয়। পরবর্তী তিন মাসে অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৮৪। জেলার বেশিরভাগ ব্লকেই অপুষ্ট শিশু মিললেও জামালপুর, রায়না দুই ,কালনা দুই ব্লকের অপু শিশুর সংখ্যা বেশি রয়েছে।
advertisement
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে 'স্বাস্থ্য দত্তক'। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১২৬ জনকে দত্তক নেওয়া হয়েছে। জেলা সুসংগত শিশু বিকাশ প্রকল্প দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে এমন শিশুদেরই প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্য দত্তক দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন :  দুই খুদে 'দোস্তজী’-র নিজের অ‍ঞ্চল ডোমকলের প্রেক্ষাগৃহে এ বার বন্ধুত্বের জয়গান
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, পুষ্টির অভাবে শিশুদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনা কঠিন হয়। তাঁদের পরামর্শ, শিশু জন্মানোর আধ থেকে এক ঘন্টার মধ্যে তাকে মাতৃদুগ্ধ দিতে হবে। ৬ মাস পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় অন্তর মাতৃদুগ্ধ দেওয়া আবশ্যিক। ছয় মাস পরে বাড়ির খাবার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দিতে হবে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময় অন্তর শিশুদের টিকা দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন :  সৌজন্যে 'বিরিয়ানি কাকু'! নামমাত্র দামে হাজির দুয়ারে বিরিয়ানি পরিষেবা
চিকিৎসকরা বলছেন, অনেকেই সচেতনতার অভাবে শিশুদের কৌটোর দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। পরবর্তী সময়ে সেই খরচ বহন করা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। তখনই পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে। তাঁরা বলছেন, ছয মাস পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধের কোনও বিকল্প নাই। এরপর বাড়ির স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো উচিত। এ ব্যাপারে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
'স্বাস্থ্য দত্তক' প্রকল্পে এই জেলা প্রশাসনের কর্তারা ঘুরে ঘুরে দত্তক নিচ্ছেন অপুষ্ট শিশুদের
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement