মাটির নীচে তৈলভাণ্ডার! অশোকনগরেও কৃষকদের দাবিতে লড়াইয়ের মাঠে বামেরা

Last Updated:

‘অশোকনগরকে দ্বিতীয় সিঙ্গুর হতে দেব না’ বামেদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে তৈলখনির শহর ।

RAJARSHI ROY
#অশোকনগর: আন্দোলনে বা মামলায় না, স্রেফ আলোচনায় মেটাতে হবে ওএনজিসি’র প্রকল্পে জমিহারাদের সমস্যা ও ক্ষতিপূরণ বিষয়টি। এই কথাটা বোঝাতে আজ অশোকনগর কল্যানগড় পুরসভার ২২ নং ওয়ার্ডে মিছিল করল সিপিএম। শ্রমিক-কৃষক দরদী বলে দাবি করা এই রাজনৈতিক দলটি ও এন জি সি’র প্রকল্প যেন বাস্তবায়িত হয় অশোকনগরের স্বার্থে তার জন্য এই প্রথম মাঠে নামল তারা। বৃহস্পতিবার বিকালে অশোকনগর কল্যানগড় পুরসভায় ২২ নং ওয়ার্ডে ওএনজিসি’র প্রকল্প পর্যন্ত সংখ্যায় অল্প মানুষকে নিয়ে মিছিল নিয়ে পৌঁছান তাঁরা। প্রকল্পের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ।
advertisement
রীতি মত নিজেদের প্রকল্প এলাকায় আসাকে নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেন অশোনগর কল্যানগড় পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর ও বিরোধী দলনেতা চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস। তাঁর দাবি, অন্দোলন নয় শুধুই আলোচনায় সমস্যা সমাধান এই কথা জমিহারাদের বোঝাতে তাঁর সঙ্গে আরও দুই প্রাক্তন কাউন্সিলর সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা হলেন ২০ নং ওয়ার্ডে প্রাক্তন কাউন্সিলর বিদ্যুৎ রঞ্জন কাঞ্জিলাল ও ২১ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর ভবতোষ হালদার। দিল্লি কৃষক আন্দোলনে অবরুদ্ধ। বামেদের প্রবল সমর্থনে সেই আন্দোলন উজ্জীবিত। এমন এক সময় কৃষকের ক্ষতিপূরণের দাবিতে অশোকনগরে কৃষকদের বোঝাতে মাঠে সিপিএম নেতারা।
advertisement
advertisement
বরং 'অশোকনগরকে সিঙ্গুর হতে দেব না', আওয়াজ তুলে সিপিএম নেতারা কৃষকদের বোঝাতে শুরু করেছেন 'অবরোধ আন্দোলন বা মামলা নয়, আলোচনার পথে সমাধান' করতে হবে। 'অশোকনগরে অবিলম্বে ওএনজিসি প্রকল্প চালু করতে হবে', 'অশোকনগরকে দ্বিতীয় সিঙ্গুর হতে দিচ্ছি না দেব না'। 'প্রকল্প স্থানে চাষাবাদরত মানুষদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে' পোস্টার ও স্লোগানকে রেখে সিপিএমের তিন প্রাক্তন কাউন্সিলার চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস, ভবতোষ হালদার ও বিদ্যুৎ কাঞ্জিলালের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল গতকাল ওএনজিসি প্রকল্পস্থানে যান। ওএনজিসি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। পাশাপাশি কৃষকদের ক্ষতিপূরণের দাবির পাশেও থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা।
advertisement
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে বোঝান, অবরোধ আন্দোলন বা মামলা নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। যদিও ওই প্রকল্পে অধিগৃহীত জমি উদ্বাস্তু ও উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের উল্লেখ করে কৃষকদের দাবিকে অস্বীকার করেছেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক প্রবোধ সরকার। তাঁর দাবি, জমির কাগজপত্র থাকলে ক্ষতিপূরণ দাবি করতেই পারেন কৃষকরা। অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দাবি, সরকারি অনুমতিপত্র নিয়ে গত ৭০ বছর তাঁরা অধিগৃহীত জমিতে চাষবাস করছেন। এই প্রকল্পে জমিহারা কৃষক বিপুল মন্ডল বামদের সামনে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন তাঁর ২ বিঘা তিন ফসলি জমি গতকয়েক বছর ওএনজিসি দখল করে রেখেছে। সেই চাষের মধ্যে দিয়ে তাঁদের পরিবারের একটা আয় আসে। আজ পর্যন্ত মেলেনি কোনও ক্ষতিপূরণ। তবুও তাঁরা চান প্রকল্প হোক। তাঁদের ঘরের একটি চাকরি ও জমির আইনমত ন্যায্য ক্ষতিপূরণ, এটুকুই দাবি তাঁদের।
advertisement
কোনও পরিস্থিতিতে এই প্রকল্প যাতে বাধার মুখে না পড়ে তার জন্য কোমর বেধে আসরে নেমেছে সিপিএম। জানা গিয়েছে, অশোকনগরকে দ্বিতীয় সিঙ্গুর হতে দেব না, আওয়াজ তুলে ৬ ডিসেম্বর গোলবাজার থেকে ওএনজিসি প্রকল্প পর্যন্ত মিছিল করবে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই। এ দিন পুরসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ওএনজিসির আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। প্রকল্পের পাশে আছেন জানিয়ে ইতিবাচক বার্তাও দিয়েছেন। সেই সঙ্গে জমিহারা কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পরিবার পিছু একজনের চাকরির দাবিও জানিয়েছেন তারা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
মাটির নীচে তৈলভাণ্ডার! অশোকনগরেও কৃষকদের দাবিতে লড়াইয়ের মাঠে বামেরা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement