#বর্ধমান: মেঘের পেছনে যেমন রোদ হাসে, ঠিক তেমনই বর্ষার আড়ালে শরৎ। বর্ষার ঘোলাটে মেঘ সরিয়ে নীল আকাশের ক্যানভাসে সাদা মেঘের ভেলাদের দেখা পাওয়া এখন আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপর বাজলো তোমার আলোর বেনু। ভুবন মাতবে শারদোৎসবে। কিন্তু গত বছরের মতো এবারও বাধ সেধেছে করোনার সংক্রমণ। সেই মারণ ভাইরাসকে দূরে সরিয়ে রাখতে শুরু হল পুজোর সঙ্গে যুক্তদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া।
বাঙালির শ্রেষ্ট উৎসব দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব ও বর্ধমান দুর্গাপুজো সমন্বয় সমিতি। বড় পুজো কমিটিগুলির আয়োজন চলে কয়েক মাস ধরে। তাদের কাছে হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন বাকি দুর্গোৎসবের। তাই দুর্গাপুজোর সাথে সরাসরি যুক্ত বিভিন্ন পুজো কমিটির সদস্য, ঢাকি, পুরোহিত, মন্ডপ শিল্পী, লাইট ও মাইকের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হল।
বর্ধমান শহরের কল্পতরু মাঠের আয়োজিত এই ক্যাম্পে প্রায় চারশো জনকে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। পুজোর আগেই দ্বিতীয় ডোজও দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানালেন উদ্যোক্তারা। সেখানে পুজো কমিটির সদস্য, মন্ডপ শিল্পী, আলোক শিল্পী, প্রতিমা শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, ভ্যাকসিন না মেলায় উদ্বিগ্ন ছিলাম। এখন অনেকটাই স্বস্তি বোধ হচ্ছে। এই উদ্যোগ আরও আগে নেওয়া হলে আরও ভালো হতো।
বর্ধমান দুর্গাপুজো সমন্বয় সমিতির সম্পাদক রাজেশ কুমার সাউ জানান, দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে আমরা চাইছি উৎসবের সাথে সরাসরি যুক্ত ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দিয়ে করোনা শৃঙ্খল ভাঙতে চাইছি। পুজোর সময় মন্ডপে মন্ডপে হাজার হাজার দর্শনার্থী প্রতিমা মন্ডপ দর্শনে বের হন। তাই পুজোর সাথে যারা সরাসরি যুক্ত তাদের যত বেশি সম্ভব ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ করতে চাইছি। সেইসঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদেরও ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হল। এর মধ্য দিয়ে পুজোর সময় করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও সহজ হবে। সকলে সামিল হতে পারবেন পুজোর আনন্দে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।