অবহেলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে কোটি টাকায় নির্মিত অশোকনগরের হিমঘর
- Published by:Simli Raha
- news18 bangla
Last Updated:
হিমঘর আজ এক পোড়োবাড়ি। আগাছা ও জঙ্গলে ঢেকেছে গোটা হিমঘর। বঞ্চিত এলাকার কৃষক, মৎস্যজীবী থেকে ফল ও সবজি ব্যবসায়ীরা।
RAJARSHI ROY
#অশোকনগর: পরিকাঠামো নেই বলেই দেশের কৃষক ও মৎস্যজীবীরা সঠিক দাম পান না তাঁদের পন্যের। সেই পরিকাঠামোর অন্যতম হল কোল্ড স্টোরেজ। অধুনিকা সময় কোল্ড স্টোরেজ চেনই বাড়াতে পারে কৃষকের উপার্জন। সময়টা ২০০২ সাল। বাম আমল। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের শিলান্যাস হল একটি কোল্ড স্টোরেজের। পুরসভার উদ্যোগ ও তত্ত্বাবধানে সেই কোল্ড স্টোরেজ নির্মানের কাজ শুরু হল। পাক্কা ১৩ বছর লাগল একটি ক্লোড স্টোরেজ বানাতে। ২০১৫ সালে সেই ক্লোড স্টোরেজ উদ্বোধনও হল। তার আগেই অশোকনগর কল্যানগড় পুরসভা বামেদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃনমূল কংগ্রেস। ক্ষমতা দখলের পরপরই এই কোল্ড স্টোরেজটি চালু করে তারা।
advertisement
অভিযোগ, ছয় মাস যেতে না যেতেই বন্ধ হয়ে যায় কোল্ড স্টোরেজটি। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি কোল্ড স্টোরেজের সুবিধা পেলেন না এই পুর এলাকার ব্যবসায়ী থেকে কৃষকরা। তারপর থেকে হিমঘর আজ এক পোড়োবাড়ি। আগাছা ও জঙ্গলে ঢেকেছে গোটা হিমঘর। বঞ্চিত এলাকার কৃষক, মৎস্যজীবী থেকে ফল ও সবজি ব্যবসায়ীরা। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কল্যাণগড় বাজার সংলগ্ন ভগ্নপ্রায় ওই হিমঘর আজও জানান দেয় সে আছে।
advertisement
advertisement
এই বাজারের ফল ব্যবসায়ী নিতাই রায় কোল্ড স্টোরেজ চালুর পর ফল রাখাতেন। তাঁর দাবি, কোল্ড স্টোরেজ চালু থাকলে তাঁদের লাভ হত বেশী।অবিক্রিত ফল কোল্ড স্টোরেজে তুলে রাখতে পারতেন। এখন বিক্রি না হওয়া ফল আবর্জনার স্তুুপে ফেলে দিতে হয়। একই দাবি, মৎস্য ব্যবসায়ী প্রতাপ দে’র। স্থানীয় বাসিন্দা তাপস চক্রবর্তীর কথায়, এই একটি কোল্ড স্টোরেজ তাঁদের ওয়ার্ডের চেহারা পাল্টে দিতে পারত। বাড়ত ব্যবসা ও কাজের সুযোগ। অশোকনগর কল্যানগড়ের প্রাক্তন সিপিএমের বিধায়ক সত্যসেবী করের অভিযোগ, তৃনমুলের কারও কোনও হেলদোল নেই। বামেরা শিলান্যাস করে কাজ প্রায় শেষ করলেও চালু করার আগেই ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। ওরা চাইলে কোল্ড স্টোরেজটি চালাতে পারত। না চালানোটা ওদের ব্যর্থতা। আমরা ক্ষমতা থাকলে এটা হত না, দাবি তাঁর।
advertisement
অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার মুখ্য প্রশাসক প্রবোধ সরকার জানিয়েছেন, কোল্ড স্টোরেজটি চালু হয়নি এই কথা ঠিক নয়। প্রায় ছ'মাস চালু ছিল বলে দাবি তাঁর। ২০১৫ সালে যে এজেন্সিকে এটি পরিচালনার জন্য দেওয়া হয়েছিল তাদের গাফিলতির জন্যই কোল্ড স্টোরেজটি বন্ধ বলে দাবি বর্তমান পুর প্রশাসক প্রবোধ সরকারের । তিনি জানিয়েছেন, অর্থের অপচয় আমরা হতে দেব না। সব সামলে এ বার তাঁরা সময় পেয়েছেন কোল্ড স্টোরেজকে ঠান্ডা ঘর থেকে বের করে আনার।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
November 17, 2020 6:37 PM IST