Cinema Hall: ২০ বছর...! প্রেক্ষাগৃহ নেই! সিনেমা দেখতে যেতে হয় অন্য জেলায়! কেন এই হাল তাঁদের?
- Reported by:Nilanjan Banerjee
- local18
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Cinema Hall Crisis: পাঁচ-পাঁচটি সিনেমা হল পড়ে রয়েছে, সেগুলি পরিণত হয়েছে কমিউনিটি ডাস্টবিনে!
বাঁকুড়া: উৎসবের মরশুম চলছে, এদিকে বাঁকুড়ার মানুষ সিনেমা দেখতে পাড়ি দিচ্ছেন অন্য জেলায়। দুর্ভাগ্যজনক এক চিত্র। তাহলে কি সত্যিই বাঁকুড়া জেলা প্রান্তিক? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। বাঁকুড়া জেলায় সিনেমা হলের (cinema hall) অভাব যথেষ্ট স্পষ্ট। গোটা শহর জুড়ে ছিল তিনটি এবং শহর সংলগ্ন গন্ধেশ্বরী নদীর ওপারে ছিল দুটি সিনেমা হল বা প্রেক্ষাগৃহ। কুসুম, বিশ্বকর্মা, বীণাপাণি, চণ্ডীদাস এবং শিবানী।
আরও পড়ুন- ‘দানা’ দুর্বল হলেও বিপদ কাটেনি! ১১ জেলায় অশনি সংকেত…! তালিকায় কলকাতাও,কী হবে এর পর?
এক সময় বাঁকুড়ার মানুষের সিনেমা দেখার রমরমা ছিল চোখে পড়ার মত। কখনও এক মাস, আবার কখনও দু’মাস করে চলত এক একটি সিনেমা। তবে এক একটি সিনেমা হল চালানো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়েছিল। প্রেক্ষাগৃহ পিছু গড়ে প্রায় ১৪ জন করে কর্মী রেখে ব্যাবসায় মন্দার মুখে পড়েন সিনেমা হলের মালিকেরা, সেই কারণে হাতে মুঠো ফোন এবং ওটিটি প্লাটফর্ম-এর দৌরাত্ম বাড়তেই যেন বাঁকুড়ায় এই পাঁচটি সিনেমা হলের ভবিষ্যতের কবর খুঁড়ে ফেলা হয়।
advertisement
advertisement
কোনওটা ১০ বছর আবার কোনওটা ২০ বছর বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। বিরাট সুবিশাল সুন্দর সিনেমা হল গুলির আনাচে কানাচে জন্মেছে আগাছা, রূপান্তরিত হয়েছে কমিউনিটি ডাস্টবিনে। সেকালের সিনেমাহল একালের আড্ডা খানা হয়ে গেছে। তবে সংস্কৃতি জগতের বহু মানুষ নব্বইয়ের দশকের সেই উন্মাদনাটা মিস করছেন। বাঁকুড়ার বাসিন্দাদের একাংশের মতে, \”তখনকার দিনে সিনেমা দেখার আনন্দটা অন্য রকম ছিল, ব্যালকনিতে বসে পরিবার এবং আরও বহু মানুষের সঙ্গে একটি ছবি উপভোগ করার উন্মাদনা অন্যরকম। সেই উন্মাদনাটা এখন আর পাওয়ার উপায় নেই। বাঁকুড়াবাসী হিসেবে আমাদের একটাই চাহিদা যে বাঁকুড়ায় একটি ভালো রুচিসম্মত প্রেক্ষাগৃহ হোক যেখানে বাঁকুড়া যুবসমাজ থেকে শুরু করে সকল বয়সের ব্যক্তিরা বসে উপভোগ করতে পারে।\”
advertisement
প্রত্যেকের হাতে হাতে ঘোরে অতি বুদ্ধিমান মুঠোফোন। সেই বুদ্ধিমান মুঠোফোন গুলির সাহায্যে ঘরের ভেতর বসেই দেখা যাচ্ছে সব সিনেমাগুলি। কষ্ট করে পয়সা খরচা করে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার উৎসাহ কমেছে বাঁকুড়াবাসীর মধ্যে। ৩০ থেকে ৪০ টাকা মূল্যের টিকিট বিক্রি হত কুসুম এবং চন্ডীদাস সিনেমা হলে। সিনেমা দেখার উৎসাহ কমে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় সিনেমা হলগুলি।
advertisement
এছাড়াও পেক্ষাগৃহগুলির সামনে ব্যবসা ছিল বহু মানুষের। নিত্য আনাগোনা ছিল সিনেমা প্রেমীদের,ফলেই রুজি রোজগার চলত বহু পরিবারের। সিনেমা হল বন্ধ হওয়ায় বন্ধ হয়েছে সেই ব্যবসা। প্রভাবিত হয়েছে জীবন জীবিকা। সিনেমা হলে আগে যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের মতে, \”সিনেমা এক ধরনের লোকশিক্ষা, সিনেমা বন্ধ হলে সমাজের চিন্তাধারা প্রসারিত হবে না। সেই কারণেই বাঁকুড়ায় সিনেমা হল চালু হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বাঁকুড়াতেই নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে মাত্র বারোটি সিনেমা হল চালু রয়েছে যেগুলি বড় মাল্টিপ্লেক্স নয়।\”
advertisement
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,Kolkata,West Bengal
First Published :
Oct 25, 2024 8:23 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Cinema Hall: ২০ বছর...! প্রেক্ষাগৃহ নেই! সিনেমা দেখতে যেতে হয় অন্য জেলায়! কেন এই হাল তাঁদের?









