Durga Puja 2025: ভেষজ ধূপের সুগন্ধ আর হাতে তৈরি মোমবাতিতে সেজে ওঠে বর্ধমানের দাস পরিবারের দুর্গা
- Published by:Ankita Tripathi
- hyperlocal
- Reported by:Sayani Sarkar
Last Updated:
বাজারে বিক্রি হওয়া ধূপ ও মোমে বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল উপাদান থাকে তাই ২০ রকমের ভেষজ উপাদন সংগ্রহ করে পরিবারের সদস্যরাই তৈরী করেন ধূপ।শুধুমাত্র ধূপ নয় মৌচাকের মোম সংগ্রহ করে তৈরি করা হয় মোমবাতিও। বাড়িতে তৈরি করা ধূপই ব্যবহার করা হয় পুজোর কাজে।
বর্ধমান,সায়নী সরকার: বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন রকমের ধুপ পাওয়া গেলেও আজও বাড়ির তৈরির ধূপ ও মোমবাতি দিয়ে করা হয় দেবীর আরাধনা। প্রায় ৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই রীতি চলে আসছে পূর্ব বর্ধমানের দাস পরিবারে। বাজারে বিক্রি হওয়া ধূপ ও মোমে বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল উপাদান থাকে তাই ২০ রকমের ভেষজ উপাদন সংগ্রহ করে পরিবারের সদস্যরাই তৈরি করেন ধূপ।
শুধুমাত্র ধূপ নয় মৌচাকের মোম সংগ্রহ করে তৈরি করা হয় মোমবাতিও। বাড়িতে তৈরি করা ধূপই ব্যবহার করা হয় পুজোর কাজে। রাসায়নিকবিহীন সেই ধূপের গন্ধই আলাদা। ধূপ জ্বলেও দীর্ঘক্ষণ। আগে বাড়িতে তৈরি মোমবাতিও ব্যবহার করা হত পুজোর দিনগুলিতে কিন্তু বর্তমানে শুধু অষ্টমীর দিন ব্যবহার করা হয় বাড়ি তৈরি মোমবাতি।
advertisement
advertisement
প্রায় ৩০০ বছর আগে বাংলার সুবেদার যখন শায়েস্তা খান তখন থেকে পুজোর সূচনা হয় পূর্ব বর্ধমানের দাস পরিবারে। দাস পরিবারের পূর্ব পুরুষরা আগে বাঁকুড়ায় থাকতেন।বাঁকুড়ায় থাকার সময় অর্থনৈতিক দিক থেকে সচল না থাকলেও বর্ধমানে আসার পর কাঁসা পিতলের ব্যবসা শুরু করেন তারা।পরে বর্ধমানের কাঞ্চন নগরে পুজোর সূচনা করেন।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে গোয়ালে পড়ে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ! দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে খুন যুবকের, হত্যার কারণ জানলে শিউরে উঠবেন
তবে এই ব্যবসা এখন অতীত।বর্তমানে দাস পরিবারের কেউ আর কাঁসা-পিতলের ব্যবসার সাথে যুক্ত নয়।দাস পরিবারের পুজোতে আছে বেশ কিছু চমক। আগে মৌচাক থেকে মোম সংগ্রহ করে তার থেকে বাড়িতেই মোমবাতি তৈরি করে পুজোতে জ্বালানো হত। কিন্তু বর্তমানে অষ্টমী ও সন্ধিপুজোতে পরিবারের তৈরী মোমবাতি জ্বালানো হয়। ধূপ তৈরীতেও আছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য,ধূপে থাকবে না কোনও কেমিক্যাল উপাদান তাই পরিবারের বউ মেয়েরা জন্মাষ্টমীর দিন স্নান সেরে শুদ্ধ হয়ে ২০ রকম
advertisement
ভেষজ উপাদন দিয়ে বাড়িতেই ধূপ তৈরি কাজ শুরু করেন।
সেই ধূপ পঞ্চমী থেকে দশমীর দিন পর্যন্ত জ্বালানো হয়।দেবী এখানে দশভূজা।একচালার প্রতিমা।ডাকের সাজে দেবী দুর্গাকে সাজানো হয়। আগে বাঁশের দোলা করে কাহাররা কাঁধে করে নিয়ে গিয়ে দশমীর দিন বিসর্জন করতেন দেবীকে। পুজোকে ঘিরে হত যাত্রাপালা ,বসত কবিগানের আসর।বর্তমানে সেই সব হয় না। তবে বর্তমানে পরিবারের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে উঠেন।
advertisement
আগের মতো জৌলুস না থাকলেও রীতিনীতি মেনে আজও পুজো করা হয় দাস পরিবারে। পুরনো রীতি মেনেই বাড়ি তৈরি ধুপ ও মোমবাত জ্বালানো হয় দেবীর সামনে। আর তার সুগন্ধেই যেন সকলেই ফিরে যান পুরনো সেই ইতিহাসের কাছাকাছি। বর্তমান সদস্যরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকলেও পুজোর কটা দিন তারা মিলিত হন কাঞ্চন নগরে তাদের পূর্ব পুরুষের বাড়িতে।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
September 20, 2025 6:21 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Durga Puja 2025: ভেষজ ধূপের সুগন্ধ আর হাতে তৈরি মোমবাতিতে সেজে ওঠে বর্ধমানের দাস পরিবারের দুর্গা