#বর্ধমান: বুধবারও বর্ধমানে তৈরি হল না সীতাভোগ মিহিদানা। উৎকৃষ্ট মানের রসগোল্লাও সেভাবে তৈরি হয়নি। বন্ধই থাকল বেশির ভাগ বড় মিষ্টির দোকান। এলাকায় এলাকায় ছোট মিষ্টির দোকানগুলি খুলেছে। তারা অনেকেই পান্তুয়া, ছানার জিলিপি, দানাদার তৈরি করছেন। কারণ, এইসব মিষ্টি টেকে বেশিদিন। তবে ভর দুপুরে সেভাবে ক্রেতার দেখা না পেয়ে হতাশ অনেকেই।
ক্রেতা মিলবে না ধরে নিয়েই এদিনও বড় প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ ছিল। সীতাভোগ মিহিদানার জন্য বিখ্যাত দোকানগুলি এদিনও ছিল সাটার নামানো। শহরের আরও যে সব নামী দোকান বন্ধ ছিল সেগুলিও। সেইসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বলছেন, কর্মী কারিগররা সবাই বাড়িতে। অনেককেই তাদের পরিবারের লোকরা এই সময় বাইরে যেতে নিষেধ করছে। অনেকের আবার ইচ্ছে থাকলেও বাস ট্রেন না চলায় আসার উপায় নেই। আবার তারা এলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়।
কেউ কেউ বলছেন, কারিগর কর্মীরা এলে তাদের পারিশ্রমিক দেওয়ার পাশাপাশি খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হবে। দুপুরে চার ঘন্টায় যে মিষ্টি বিক্রি হবে তাতে খরচের অর্ধেকও উঠবে না। তাই এখন দোকান খুলে লোকসানের বহড় বাড়াতে নারাজ অনেকেই। কারন দোকান চার ঘন্টা খোলা থাকলেও মজুরি দিতে হবে সারাদিনের। অনেকে আবার করোনা সংক্রমণের আশংকাও করছেন। নামকরা দোকানের এক মালিক বললেন, লক ডাউনের পর থেকে বাড়ি থেকে বের হই নি। দোকানে যাওয়া মানেই অনেক মানুষের কাছাকাছি আসা। বাড়ির অন্যান্যরা সেটা চাইছেন না। তাঁরা বলছেন, এখন দোকানে গেলে আর বাড়ি ফেরা যাবে না। দোকানেই রাত কাটাতে হবে। বাড়ি ফিরলে ছোট বা বয়স্কদের দেহে সংক্রমণ ছড়ানোর আশংকা থেকেই যাবে ভেবে তারা উদ্বিগ্ন। তাই আর কটা দিন দেখে পাকাপাকিভাবে দোকান খুলতে চাইছি।
সাবধানতার পাশাপাশি লাভ ক্ষতির হিসেব চলছে। তার জেরেই বন্ধ বড় মিষ্টির দোকানগুলি। তবে ছোট দোকানগুলি কিছু কেমন খুলেছে। সেখানের মালিকরা বলছেন, আমরা নিজেরাই মিষ্টি তৈরি করি। বড়জোর কারও কারও এক দুজন কর্মী কারিগর আছেন। আমরা প্রয়োজন মতো মিষ্টি তৈরি করছি। তবে চড়া রোদ মাথায় নিয়ে ভর দুপুরে মিষ্টি কিনতে আসতে চাইছেন না অনেকেই। সকালে ও বিকেলে দোকান খোলার অনুমতি মিললে সুবিধা হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan, Corona Virus, COVID-19, Sweet Shops