East Bardhaman News: আন্তর্জাতিকমঞ্চে বর্ধমানের জয়! 'ইনোভেটিভ রিসার্চার অফ দ্য ইয়ার' ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত
- Published by:Soumendu Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Sayani Sarkar
Last Updated:
ড. দত্ত শুধু একজন শিক্ষক নন, তিনি একজন ''গ্রিন অ্যাপল এনভায়ার্নমেন্ট অ্যাওয়ার্ড' বিজয়ী! এখানেই শেষ নয়, তাঁর গবেষণার তালিকা দেখলে চোখ কপালে উঠবে আপনার। বর্ধমানের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত।
সায়নী সরকার, বর্ধমান: প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব এখন আমাদের হাতের মুঠোয়, আর সেই প্রযুক্তির আলোয় প্রতিনিয়ত ঘটছে নতুন নতুন আবিষ্কার। কিন্তু এই আবিষ্কারের পেছনে থাকেন কারা? থাকেন এমন কিছু মানুষ, যাঁরা নীরবে কাজ করে যান মানবজাতির কল্যাণে।
আজ তেমনই একজন ব্যতিক্রমী মানুষের গল্প বলব, যিনি শুধু নিজের শহর নয়, গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছেন।আপনি কি জানেন, বর্ধমানেই এমন একজন শিক্ষক আছেন যিনি বিশ্ব মঞ্চে তারকা? তার নামে রয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক সম্মান ।
এবার তার মুকুটের যোগ হল আরও এক নতুন পালক । সম্প্রতি তাকে সায়েন্টিফিক লরেলস নামের এক বিশ্বখ্যাত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সংস্থার পক্ষ থেকে ভূষিত করেছে ‘ইনোভেটিভ রিসার্চার অফ দ্যা ইয়ার’ সম্মানে! এছাড়াও তার নামে রয়েছে একাধিক সম্মান।এই পুরস্কার শুধু তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এটি বর্ধমান তথা সমগ্র বাংলার জন্য গর্ব। তারই কৃতিত্বে স্কুলের সহকর্মী ও পড়ুয়ারা। এদিন তার এই সাফল্যের জন্য তাকে স্কুলের পক্ষ থেকেও সম্মান জানানো হয়।
advertisement
advertisement
তিনি ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত। ভাবছেন কে এই ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত? কী এমন কাজ করেছেন, যে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সংস্থা তাঁকে এই বিশেষ সম্মান দিল? ড. দত্ত শুধু একজন সাধারণ শিক্ষক নন, তিনি একজন ”গ্রিন অ্যাপল এনভায়ার্নমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ী! এখানেই শেষ নয়, তাঁর গবেষণার তালিকা দেখলে চোখ কপালে উঠবে আপনার। বর্ধমানের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত। নিজের কাজের জন্য এর আগেও তিনি অ্যালবার্ট নেলসেন মারকুইস লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট, বায়োডাইভারসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড, জাতীয় শিক্ষক, শিক্ষারত্নের মতো অজস্র পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
advertisement
বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ গবেষণা পুরস্কার আর্টিকেল অফ মেরিট সম্মানও পেয়েছেন সুভাষচন্দ্র দত্ত। এবার তিনি ভূষিত হলেন ‘ইনোভেটিভ রিসার্চার অফ দ্যা ইয়ার’ সম্মানে। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সংস্থা সাইন্টিফিক লরেলসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত গ্রীন ওয়ার্ল্ড অ্যাম্বাসেডর তথা গ্রীন আপেল ইনভারমেন্ট অ্যাওয়ার্ড বিজেতা।
একইসঙ্গে তিনি রেশম কিট বিষয়ক একটি পেটেন্টের অধিকারী এবং ১৩৯ টি গবেষণা পত্রের লেখক। পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ৮৯ টিরও বেশি গবেষণামূলক তথ্য সম্মেলনে উপস্থাপন করেছেন তিনি। তার চিন্তা বিশ্বের নীতিপ্রণেতাদের পথ দেখিয়েছে। প্রসঙ্গত ,জীব বৈচিত্র্য ক্ষেত্রে তার উৎকৃষ্ট কর্ম পদ্ধতি পরিবেশ তথা বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণে নিশ্চিতভাবে সহায়ক যা পরিণামে মানব সভ্যতার পক্ষে শুভদায়ক। তাই তাকে ‘ইনোভেটিভ রিসার্চার অফ দ্যা ইয়ার’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে।
advertisement
উল্লেখ্য, সুভাষবাবু বিশ্বখ্যাত মারকুইস হু`জ হুতে স্থানপ্রাপ্ত একাধারে বায়ো মেডিসিন বা হেলথ কেয়ার গবেষক, জাতীয় মেন্টর ও এসটিইএম এডুকেটর, এসটিইএম ইনোভেটর তথা আন্তর্জাতিক গবেষক, বিভিন্ন জার্নালের এডিটর ও বোর্ড মেম্বার, পরিবেশবিদ। এছাড়াও তিনি বিজ্ঞান সংক্রান্ত একাধিক পত্রিকার নিয়মিত লেখক। যার মধ্যে রয়েছে এনভায়ার্নমেন্টাল সায়েন্স পত্রিকা, অ্যাডভান্সেজ ইন ক্লিনিকাল টক্সিকোলজি পত্রিকা, ইনসাইটস অফ ক্লিনিকাল অ্যান্ড মেডিকেল ইমেজেস প্রভৃতি। সায়েন্টিফিক লরেলস থেকে প্রাপ্ত এই সম্মানে তার মুকুটে যুক্ত হল আরও একটি পালক।
advertisement
সুভাষবাবু জানিয়েছেন, পরিবেশবান্ধব উদ্ভিদ তথা প্রাণীসম্পদ, উদ্ভিদের রোগনিরাময় ক্ষমতা, ননমেডিকেটেড ব্যক্তি ও এনজিওদের এবিষয়ে অবহিত ও উদ্বুদ্ধ করা, পাখিদের জন্য কৃত্রিম বাসা, কৃষিজমির নতুন ব্যবহার, পরিবেশসচেতনতা নিয়ে তিনি ধারাবাহিক কাজ করে চলেছেন। তিনি জানিয়েছেন,এই সম্মান পাওয়ায় ভাল লাগছে, আগামী দিনে আরও কাজের স্পৃহা বাড়ল।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
First Published :
July 19, 2025 3:26 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: আন্তর্জাতিকমঞ্চে বর্ধমানের জয়! 'ইনোভেটিভ রিসার্চার অফ দ্য ইয়ার' ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত
