এখানে গেলে দেখতে পাবেন দেবীর শিরা, ধমনী সহ কঙ্কালসার রূপ! পুজো হয় উগ্র চামুন্ডা মতে, দেখে আসুন একবার

Last Updated:

Kali Puja 2025 : দক্ষিণবঙ্গে কালী মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম এই মন্দির। এখানে দেবী অষ্টভূজা, কঙ্কালসার রূপ। দেবী মূর্তিতে স্পষ্ট মানব শরীরের অস্থি, শিরা, ধমনী। তাই দেবী এখানে ‘কঙ্কালেশ্বরী কালী’।

+
দেবী

দেবী কঙ্কালেশ্বরী

বর্ধমান, সায়নী সরকার: দক্ষিণবঙ্গে কালী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম পূর্ব বর্ধমানের এই মন্দির। নিত্য পুজো হলেও দীপান্বিতা অমাবস্যার দিন লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয় এখানে। কথিত রয়েছে,নবরত্ন এই মন্দিরে প্রথমে কোনও বিগ্রহ ছিল না। কবে কে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন, তাও জানা যায় নি। ইতিহাসবিদ সর্বজিৎ যশ জানান, এটি একটি বিষ্ণু মন্দির ছিল। কিন্তু মন্দিরে কোনও বিগ্রহ ছিল না। দেবী কঙ্কালেশ্বরীর মূর্তি উদ্ধারের পর সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় এই মন্দিরে।
১৩২৩ সালে স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবী মূর্তিটি দামোদরের নদ থেকে উদ্ধার করেন সাধক কমলানন্দ পরিব্রাজক। সেই মুহূর্তে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই মন্দিরে। পূর্ব বর্ধমানের কাঞ্চননগরের কঙ্কালেশ্বরী মন্দির ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে নানা কাহিনি। কথিত আছে, সাধক কমলানন্দ পরিব্রাজক দেবীর স্বপ্নাদেশ পান। তিনি স্বপ্নে দেখেন যে দামোদরের তীরে দেবী রয়েছেন। সেই স্থানে পৌঁছে সাধক কমলানন্দ দেখেন ধোপারা একটি পাথরের উপর কাপড় ধুচ্ছেন। সেই পাথরটি উদ্ধার করেন তিনি এবং দেখেন সেই পাথরেই খোদাই করা ছিল দেবী মূর্তি।
advertisement
advertisement
পরে সেই দেবীমূর্তি নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করা হয় মন্দিরে। এখানে দেবী অষ্টভূজা, কঙ্কালসার রূপ। দেবী মূর্তিতে স্পষ্ট মানব শরীরের অস্থি, শিরা, ধমনী। তাই দেবী এখানে ‘কঙ্কালেশ্বরী কালী’ নামে পরিচিত। শায়িত শিবের নাভি থেকে উৎপত্তি হয়েছে দেবীর। শিবের নাভি থেকে বেরিয়েছে পদ্ম, সেই পদ্মের উপর বসে রয়েছেন দেবী। তাঁর চালচিত্রে রয়েছে হাতি। অনুমান করা হয়, এই দেবীমূর্তিটি সম্ভবত বৌদ্ধ বা পাল যুগের। মন্দিরে মূল মূর্তির পাশেই রয়েছে আরও একটি ছোট মূর্তি।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মূল মূর্তিটি উদ্ধার হওয়ার কিছুদিন পরেই অন্য আরেকটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল ছোট মূর্তিটি। স্বপ্নদেশ পেয়ে ছোট মূর্তিটিকেও নিয়ে আসা হয় এই মন্দিরে। দেবী এখানে চামুণ্ডা মতে পূজিত হন। সারা বছরই হয় নিত্য পুজো। দীপান্বিতা কালীপুজোর সময় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। সেই সময় প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি ভক্তের সমাগম ঘটে এই মন্দিরে। কালীপুজোর দুদিন ধরে চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, থাকে ভোগের ব্যবস্থাও। এছাড়াও সারা বছরই প্রতিদিনই দুপুরে মন্দিরে ১০ টাকার বিনিময়ে অন্ন ভোগ এবং রাত্রে পাঁচ টাকার বিনিময়ে রুটি খাওয়ানোর ব্যবস্থা আছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
এখানে গেলে দেখতে পাবেন দেবীর শিরা, ধমনী সহ কঙ্কালসার রূপ! পুজো হয় উগ্র চামুন্ডা মতে, দেখে আসুন একবার
Next Article
advertisement
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব, নস্যাৎ করলেন প্রশান্ত কিশোর
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব নস্যাৎ করলেন পিকে
  • 'যখন বিহারের মানুষই রাহুল গান্ধির কথা শুনছেন না, তখন Gen Z -রা কেন তার কথা শুনবেন?' বিহার নির্বাচনী আবহে রবিবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রশান্ত কিশোর

VIEW MORE
advertisement
advertisement