#বর্ধমানঃ গ্রীষ্মের দাবদাহের মাঝেই মরশুমের প্রথম কালবৈশাখীর দেখা মিলল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে চলে শিলাবৃষ্টিও। পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়েই রবিবার বিকালে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকেই ভ্যাপসা গরমে নাকাল হচ্ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দারা। দুপুরের পর আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। বিকেলে কালো মেঘে আকাশ ঢেকে যায়। অবশেষে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ধরে শিলাবৃষ্টিও চলে। বর্ধমান শহরের পাশাপাশি আউসগ্রাম ভাতার গোলসি মন্তেশ্বর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর বৃষ্টির হাত ধরে গরম কিছুটা কমায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দারা। তবে হঠাৎ বৃষ্টিতে নাকাল হন পথচারীরা। চৈত্র সেল এর বাজারে বিঘ্ন ঘটে। মাঝপথে প্রচার বন্ধ করতে বাধ্য হন ভোট প্রার্থীরা। এই বৃষ্টিতে শহরের বাসিন্দারা কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল চাষের ক্ষেত্রে শিলাবৃষ্টি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন কৃষকরা। তারা বলছেন শিলা বৃষ্টির ফলে সবজি গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে আমেরও।
বিকাল থেকেই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। কিছুক্ষনের মধ্যেই শুরু হয় দমকা হাওয়া। তারপরেই শুরু হয় প্রবল শিলাবৃষ্টি। শিলাবৃষ্টির দাপটে রাস্তায় শিলার আস্তরণ পরে যায়।তীব্র গরমে ক্ষণিকের এই বৃষ্টিতে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়।অসময়ের এই বৃষ্টি তুমুল উপভোগ করেন শহরবাসী।
সকাল থেকেই আবহাওয়া দপ্তরের বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলো।সেই মতোই শহর বর্ধমান, আউশগ্রাম, গুসকরা সহ পূর্ব বর্ধমানের বেশ কিছু জায়গায় শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। তবে ক্ষনিকেরই শিলাবৃষ্টিতে বোরো ও আম চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষীরা। শহর এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। শরীরে প্রচন্ড ঘাম হচ্ছিল। এই বৃষ্টি ক্ষণিকের স্বস্তি দিয়েছে। যদিও এই বৃষ্টির ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এখন চৈত্র সেল এর ভরা মরশুম চলছে। এই বৃষ্টি সেই বাজারে অনেকটাই ক্ষতি করে দিল। বৃষ্টির পর আর নতুন করে বাসিন্দারা বাজারে বের হননি। বৃষ্টির জেরে অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন সন্ধ্যায় বর্ধমানের সেলের বাজার অনেকটাই ফাঁকা ছিল।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Bardhaman, Wather Update, Weather