#বর্ধমান: বর্ধমানের নির্মল ঝিল শ্মশানে প্রতিদিন মৃতদেহের দীর্ঘ লাইন লেগেই রয়েছে। যে সংখ্যায় মৃতদেহ আসছে তা সৎকার করার জন্য পরিকাঠামো রয়েছে অনেক কম। সে কারণেই মৃতদেহ দাহ করতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। সেই সুযোগে বর্ধমানের শ্মশানে দালালচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ।
বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা শবদাহের জন্য নির্মল ঝিল শ্মশানের উপর নির্ভরশীল। শহরের বাইরে থেকেও বহু মৃতদেহ আসে এখানে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির সময় সন্ধে ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই শ্মশানে সাধারণ মৃতদেহ দাহ করা বন্ধ রেখেছে বর্ধমান পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এই সময়ে শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত মৃতদেহের দাহ করা হবে বলে পুরসভার পক্ষ থেকে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ফলে দিনের বেলা সৎকারের জন্য মৃতদেহের লাইন পড়ে যাচ্ছে।
সেই সুযোগ কাজে লাগাতে সচেষ্ট দালাল চক্র। আগে মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার নাম করে মৃতের আত্মীয়-পরিজনদের কাছ থেকে দালালরা মোটা টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ। আবার দিনের বেলা সাধারণ মৃতদের সঙ্গে করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ মোটা টাকার বিনিময়ে দাহ করার চেষ্টায় দালালচক্র সক্রিয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ, সাধারণের মাঝে কোভিড মৃতদেহ ঢুকিয়ে দিতে চাইছে দালালরা। এর জন্য নেওয়া হচ্ছে ২৫-৩০ হাজার টাকা। বর্ধমানের নির্মল ঝিল শ্মশানে এই কারবার চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সম্প্রতি দালাল সন্দেহে এক জনকে ধরে বেদম মারধর করেন স্থানীয়রা। ওই ব্যক্তি এক বেসরকারি নার্সিংহোমের যোগসাজশে করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে দাহ করানোর কাজে সচেষ্ট ছিলেন বলে অভিযোগ।
দীর্ঘদিন বন্ধ গ্যাস চুল্লি। ভরসা শুধু বৈদ্যুতিন চুল্লি ও কাঠ চুল্লি। বাসিন্দাদের বক্তব্য কোনও কোনও দিন ১৫-১৬ জনের পর্যন্ত মৃতদেহ আসছে। ৭-৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করে থাকতে হচ্ছে দাহ করতে আসা বাসিন্দাদের। এ ব্যাপারে বর্ধমান পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই গ্যাস চুল্লি চালু হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তখন সমস্যা অনেকটাই কমবে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, Coronavirus, Covid ১৯