Bangla News: স্ত্রীর সিঁথিতে নয়, বরং গাছের মাথায় দেওয়া হল লাল সিঁদুর,কপালে পড়ল চন্দন!

Last Updated:

Bangla News: কয়লা খনি প্রকল্পের কাজকে বাস্তবায়িত করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন যে জায়গাটি কয়লা খনি হিসাবে প্রস্তাবিত করা হয়েছে সে জায়গার সমস্ত গাছগুলি পুনর্বাসন করার। এরপরেই গত বৃহস্পতিবার থেকে গাছ তোলার কাজ শুরু হয়েছে।

+
গাছেদের

গাছেদের পুনর প্রতিষ্ঠাপন

বীরভূম: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প এই দেউচা পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্প। আর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের পরেই কয়লা খনি প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। কয়লা খনি প্রকল্পের কাজকে বাস্তবায়িত করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন যে জায়গাটি কয়লা খনি হিসাবে প্রস্তাবিত করা হয়েছে সে জায়গার সমস্ত গাছগুলি পুনর্বাসন করার। এরপরেই গত বৃহস্পতিবার থেকে গাছ তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এরপরই গত শুক্রবার প্রকল্প এলাকার বাইরে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের চিহ্নিত নির্দিষ্ট জায়গায় আইআইটি খড়গপুর সংস্থার তত্ত্বাবধানে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার মাধ্যমে গাছগুলিকে পুনর্বাসন দেওয়া কাজ শুরু হয়।
আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিসে ভুলেও মুখ তুলবেন না এই ফল, নিমেষে সুগার ছোঁবে ৪০০! এক ভুলেই সর্বনাশ!
কয়লা খনি প্রকল্প এলাকার মধ্যে থাকা ১২ একর জমির মধ্যে বহু মহুয়া, শাল, অর্জুন ও অন্যান্য গাছ রয়েছে সেগুলি অন্য জায়গায় বসানোর কাজ শুরু হয়। গত বুধবার থেকেই সেই কাজ পুরো দমে শুরু হয়েছে। তারপরে মোহাম্মদ বাজারের চাঁদা মৌজার গিয়ে দেখা যায় গাছ তোলার কাজ। প্রথমেই পর্যাপ্ত পরিমাণ জল দিয়ে গাছের গোড়ার মাটি নরম করা হচ্ছে। তারপর ওই গাছের মূল শিকড় অনুযায়ী প্রথমে একটি ‘রুট বল’ বানানো হচ্ছে। তারপরেই সেখানে বিশেষ হরমোন ছেটানো হচ্ছে। সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে এক ধরনের বিশেষ অ্যাসিড। গাছ তোলা হলে গাছের শিকড় থেকে শুরু করে ডাল পর্যন্ত সমস্ত কাটা জায়গায় ‘ব্লু কপার’ লাগানো হচ্ছে, যাতে সেই কাটা অংশ থেকে পুনরায় ডাল ও শিকড় বের হয়।
advertisement
যাতে কাটা অংশগুলি শুকিয়ে না যায় সে কারণেই ওই ওষুধ লাগানো হচ্ছে। আবার যেখানে গাছগুলিকে পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে সেই জায়গায় গর্তে উইপোকা দমন করার বিশেষ প্রে করা হচ্ছে তারপর এই বিশেষ ওষুধ দেওয়ার পর গাছগুলি স্থাপন করা হচ্ছে। তবে, এই গাছগুলি পুনরায় প্রতিস্থাপন করার সময় দেখা গেল যেন এক অন্য ধরনের চিত্র। যে চিত্র আজ পর্যন্ত বীরভূম-এর বাসিন্দারা হয়ত কোনও দিন দেখেননি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, গাছ তুলে অন্য জায়গায় পুনর্বাসন দেওয়া হবে। একটিও গাছ নষ্ট হবেনা।
advertisement
advertisement
সেই প্রতিশ্রুতি মতই কাজ শুরু করা হয়।সূত্রের খবর, প্রকল্প এলাকার মধ্যে থাকা ৯৮০টি গাছের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১৮০টিকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। সেইমত পুনর্বাসনের সময় ফুল চন্দনে আপ্যায়ন করা হয় গাছগুলিকে,শপথ করা হয় আগলে রাখার। সিঁদুর এবং হলুদ দেওয়া হয় প্রত্যেক গাছকে। গাছের গোড়ায় দেওয়া হয় জল। এখানেই শেষ নয় গাছগুলিকে আনন্দ দেওয়ার জন্য শুরু হয় নাচ এবং গান। ঠিক এমন ভাবেই বরণ করে নিলেন গাছগুলিকে আদিবাসীরা।বার্তা দিলেন নতুন পরিবেশে আশা গাছগুলিকে যেন সযত্নে এবং ভালবাসায় রাখেন এলাকাবাসীরা।
advertisement
সৌভিক রায়
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bangla News: স্ত্রীর সিঁথিতে নয়, বরং গাছের মাথায় দেওয়া হল লাল সিঁদুর,কপালে পড়ল চন্দন!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement