#বর্ধমান: দায়িত্ব নিয়ে, যত্ন করে আসন্ন প্রসবাদের হাসপাতালে নিয়ে আসছেন তাঁরা। অথচ তাঁদের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে হাসপাতালে। এমনই অভিযোগ তুললেন কালনার আশা কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, হাসপাতলে এসে তাঁরা যাতে কাজ করার উপযুক্ত পরিবেশ পান তা নিশ্চিত করতে হবে। আশা কর্মীদের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কালনা মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে এসে হেনস্থা এবং হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের সদস্যরা। তাঁরা কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপারের কাছে ৫ দফা দাবি-সহ স্মারক লিপি জমা দেন। আশা কর্মীদের বক্তব্য, চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন তাঁরা। করোনার সময় বাড়ি-বাড়ি ঘুরে পরিষেবা দিয়েছেন তাঁরা। শিশু ও মায়েদের মৃত্যু হার কমাতে আশা কর্মীদের গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ প্রসূতিদের হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরে তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। রাতে আশা কর্মীদের হাসপাতালে থাকার ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। অনেক সময় তাদের বাড়ি ফেরা মুশকিল হয়ে পড়ে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন তাঁরা।
আশা কর্মীদের বক্তব্য, প্রসূতি নিয়ে আসার পর তাঁদের নার্স এবং চিকিৎসকদের স্বাক্ষরের প্রয়োজন পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই স্বাক্ষর পেতে হয়রান হতে হয়। তাদের অভিযোগ, গত ৯ সেপ্টেম্বর কালনা মহকুমা হাসপাতলে এক আশা কর্মীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। তাঁকে হাসপাতাল চত্বরে বসে কাজ করতেও বাধা দেওয়া হয়। তাই হাসপাতালে আসা আশা কর্মীদের যাতে আর ভবিষ্যতে হেনস্থা স্বীকার না হতে হয়, তা মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা। সেই সঙ্গে হাসপাতালে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, কাজ করার জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন ওই আশা কর্মীরা। কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার চন্দ্রশেখর মাইতি বলেন, আশা কর্মীদের দাবিগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kalna