Anubrata Mondal: নগদে ৫ কোটি ৬৩ লাখ, সঙ্গে ৪৬ লাখের গাড়ি! অনুব্রতর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বীরভূমের ব্যবসায়ী

Last Updated:

যে ফোর্ড এন্ডেভার গাড়ি নিয়ে বিতর্ক, সেটিতে চড়ে কলকাতাতে আসতেও দেখা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে৷ গাড়ির নম্বর WB54U 6666৷

প্রবীর মণ্ডল নামে এই ব্যবসায়ীর গাড়িই চড়তেন অনুব্রত৷
প্রবীর মণ্ডল নামে এই ব্যবসায়ীর গাড়িই চড়তেন অনুব্রত৷
#বোলপুর: টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে দিতে হবে দশ কোটি টাকা! বীরভূমের দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নাকি এমনই দাবি করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল৷ দশ কোটি টাকা দিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত রফা হয় ৫ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকায়৷ শুধু টাকাতেই অবশ্য তুষ্ট হননি অনুব্রত৷ নিজের চড়ার জন্য চেয়ে নিয়েছিলেন এক ব্যবসায়ীর ৪৬ লক্ষ টাকা দামের বহুমূল্য এসইউভি গাড়ি৷ শুক্রবার অনুব্রতর রাইস মিলে তল্লাশি চলাকালীন যে গাড়ির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই৷
অনব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বীরভূমের দুই ব্যবসায়ী অরূপ ভট্টাচার্য এবং প্রবীর মণ্ডল৷ ওই দুই ব্যবসায়ীর বীরভূমে গাড়ির ব্যবসা রয়েছে৷
advertisement
অরূপ বাবুর অভিযোগ, ২০১৭ সালে বন্যা সমস্যা মেটানোর জন্য বীরভূমের তৎকালীন জেলাশাসক তিলপাড়া বাঁধ এবং জলাধার সংস্কারের উদ্যোগ নেন৷ সেই কাজের জন্য আবেদন জানান অরূপ বাবু ও তাঁর ব্যবসায়িক সঙ্গী প্রবীর মণ্ডল৷ অরূপ ভট্টাচার্যের কথায়, 'জেলাশাসক অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন৷ বন্যা মোকাবিলায় উনি তিলপাড়া জলাধার সংস্কারের উদ্যোগ নেন৷ উনিই আমাকে অনুরোধ করেছিলেন যাতে এই কাজটা আমি করি৷ কিন্তু কলকাতা থেকে অনেক চেষ্টা করেও কাজের জন্য তিনি অনুমোদন আনতে পারেননি৷ শেষ পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের শরণাপন্ন হই৷ উনি সহজেই সেচ দফতর থেকে এনওসি বের করে দেন৷ কাজের ওয়ার্ক অর্ডারও বেরিয়ে যায়৷ এর বদলে আমার কাছ থেকে দশ কোটি টাকা চাওয়া হয়৷ আমি বলেছিলাম অত টাকা দিতে পারব না৷ শেষ পর্যন্ত ৫ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা দিই৷ আর আমার ব্যবসায়িক পার্টনারের ৪৬ লক্ষ টাকা দামের গাড়িও চেয়ে নেন অনুব্রত মণ্ডল৷'
advertisement
ওই ব্যবসায়ীর আরও চাঞ্চল্যকর দাবি, 'অনুব্রত মণ্ডলের হাতেই আমি ওনার বাড়ির অফিসে বসে দেড় কোটি টাকা দিয়েছি৷ বাকি টাকা দিয়েছিলাম সায়গল হোসেনের হাতে৷ সব টাকা নগদে দিয়েছি৷ আবার ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের সময় আড়াই কোটি টাকা নিয়েছে৷'
advertisement
যদিও দুই ব্যবসায়ীর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, এত টাকা দেওয়ার পরেও শেষ পর্যন্ত বাঁধ সংস্কারের কাজের বরাত তাঁরা পাননি৷ পরে সেই কাজ ঝাড়খণ্ডের অন্য ব্যবসায়ীদের দিয়ে দেওয়া হয়৷ কাজের বরাত পেতে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেই টাকাও তাঁরা ফেরত পাননি৷ অনুব্রতর রাইস মিলের গ্যারেজে যে ফোর্ড এন্ডেভার গাড়ি মিলেছে, সেটি রয়েছে প্রবীর মণ্ডলের নামে৷ ওই ব্যবসায়ী বলেন, 'আমরা পুরো শেষ হয়ে গিয়েছি৷ আর ব্যবসা করার মতো পুঁজিও নেই৷ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ওই গাড়ি অনুব্রত মণ্ডলকে দিয়েছিলাম৷ পরে ফেরত চাইতে গাঁজা কেেস ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান৷ বলেছিলেন, গাড়ি চড়বি না জেলে যাবি?' প্রবীর বাবুর কথায়, এর পরে আর গাড়ি ফেরত চাওয়ার সাহস দেখাননি তিনি৷
advertisement
যে ফোর্ড এন্ডেভার গাড়ি নিয়ে বিতর্ক, সেটিতে চড়ে কলকাতাতে আসতেও দেখা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে৷ গাড়ির নম্বর WB54U 6666৷ গাড়ির গায়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকারও মারা রয়েছে৷ রাইস মিলের গ্যারেজে থাকা আরও একটি গাড়িতে লাল বাতি লাগানো ছিল৷ ওই গাড়িটিও চড়তেন অনুব্রত৷ তবে এর কোনওটিই অনুব্রতর নামে ছিল না৷
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Anubrata Mondal: নগদে ৫ কোটি ৬৩ লাখ, সঙ্গে ৪৬ লাখের গাড়ি! অনুব্রতর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বীরভূমের ব্যবসায়ী
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement