Arpita Mukherjee: আমার সব শেষ...! 'মায়ের খাবার-ওষুধ যোগাচ্ছে কে?' জেলে বসে সঙ্কটের কালো মেঘ অর্পিতার চোখে
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Arpita Mukherjee: জীবন ধারায় আমূল বদলে জেলে খানিকটা নাস্তানাবুদ হয়েছেন অর্পিতা। কখনও ড্রেস পাচ্ছেন না, তো কখনও বাড়ির কেউ খোঁজ নিতে আসছে না।
তার দুই ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকা। কোটি কোটি টাকার সেই পাহাড় দেখে চক্ষু চড়কগাছ মায় ইডি কর্তাদের। গোটা রাজ্য তোলপাড় প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকার এসএসসি কেলেঙ্কারি নিয়ে। একটি ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা এবং ৭৯ লক্ষ টাকার গয়না ও মোবাইল ফোন ,এবং অন্য আবাসন থেকে নগদ ২৮ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। – এই মোটা অঙ্কের টাকা উদ্ধারের পর আপাতত অর্পিতার ঠিকানা জেল। একইভাবে দুর্নীতি মামলায় অন্য অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও জেল হেফাজতে।
advertisement
আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে রয়েছেন অর্পিতা। আর প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, হেভিওয়েট প্রাক্তন মন্ত্রী। প্রেসিডেন্সি টু আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার। দূরত্ব মেরেকেটে দেড় কিলোমিটার। সময় লাগে মিনিট পাঁচেক। এক কারাগারে রাজ্যের প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রী আরেকটিতে দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সাম্প্রতিককালের যেই দুই নাম নিয়ে চর্চা তুঙ্গে পৌঁছেছে প্রায় একমাস ব্যাপী।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
আরও ২০/২২ জন মহিলার সঙ্গে একসঙ্গেই রয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে ইডি র আধিকারিকরা জেরা করে গিয়েছেন দফায় দফায়। বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ইডি র বিশেষ আদালতে দ্বিতীয়বারের জন্য পেশ করা হয়। তাদের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো প্রিজন ভ্যানে চড়ে আবার আলিপুরের সংশোধনাগারে অর্পিতা।
advertisement
সূত্রের খবর, জীবন ধারায় আমূল বদলে জেলে খানিকটা নাস্তানাবুদ হয়েছেন অর্পিতা। কখনও ড্রেস পাচ্ছেন না, তো কখনও বাড়ির কেউ খোঁজ নিতে আসছে না। থানার নিয়ম অনুযায়ী রক্তের সম্পর্কের মানুষ এবং আইনজীবী ছাড়া কেউ দেখা করতে পারবে না। এদিকে, অর্পিতার তরফে রয়েছেন তার মা ও একমাত্র দিদি। কিন্তু, এঁরা কেউই দেখা করতে আসেনি এখনও পর্যন্ত।
advertisement
মায়ের জন্য বেশ চিন্তা করছেন অর্পিতা। মায়ের শরীর কেমন আছে সেই নিয়েই ব্যাকুল অর্পিতা।বারবার তার আইনজীবীর কাছে মায়ের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, অর্পিতা গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর মা জানান যে অর্পিতা মূলত সপ্তাহে এক-দুবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। এবং, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মেয়ের ঘনিষ্ঠতার কথা তিনি কিছুই জানতেন না বলেই দাবি করেন।
advertisement