পূর্ব বর্ধমান: কথিত আছে, প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে বর্ধমানের উত্তরাংশে বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ায় পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে একটি শিলামূর্তি পেয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা । কিছু দিন পর স্বপ্নাদেশ পান তৎকালীন রাজা সঙ্গম রায়। এরপর শিলামূর্তিটিকে নিয়ে এসে সর্বমঙ্গলা নামে পুজো শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে ১৭০২ সালে টেরাকোটার নিপুণ কারুকার্য করে সর্বমঙ্গলা মন্দির নির্মাণ করেন মহারাজাধিরাজ কীর্তিচাঁদ মহতাব।
রাঢ়বঙ্গের অধিষ্ঠাত্রী এই দেবী সর্বমঙ্গলার (Sarbamangala Devi) সূত্রে দুর্গাপুজো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বর্ধমান জেলা জুড়ে। কষ্টিপাথরের অষ্টাদশভুজা। সিংহবাহিনী দুর্গাই পুজিত হন সর্বমঙ্গলা রূপে।
আরও পড়ুন : একসময়ে পুতুলনাচ, নহবতে মাতত পালেদের দুর্গোৎসব! এখন মলিন এই প্রাচীন পুজো
বছরের প্রতিদিনই সর্বমঙ্গলা মন্দিরে হয় রাজকীয় আয়োজন। রাজবেশ ও দামী গয়নায় সাজিয়ে তোলা হয় সর্বমঙ্গলাকে। এরপর তোলা হয় সিংহাসনে। পুজো, মঙ্গলারতির মাঝেই চার বেলা দান করা হয় ভোগ।
এ সবের মধ্যেও পুজোয় আড়ম্বর থাকে দ্বিগুণ। প্রতিপদে বর্ধমান রাজবাড়ির (Bardhaman Rajbari) কৃষ্ণসায়র থেকে ঘটে জল ভরে নিয়ে আসা আসা হয় মন্দির প্রাঙ্গণে।
আরও পড়ুন : দেবী সাজেন লাল বেনারসি-সোনার গয়না ও আলতায়, স্বামীজি শুরু করেছিলেন বেলুড় মঠের পুজো
কলাবউকে রেখে ঘট স্থাপন করা হয় মন্দিরে। নবমীতে হয় কুমারী পুজো। দশমীতে অপরাজিতা পুজোর মধ্যে দিয়ে শারদোৎসব শেষ হয়।
মন্দিরের এক প্রবীণ পুরোহিত অরুণ কুমার ভট্টাচার্য বলেন, " এই সর্বমঙ্গলা মন্দির অবিভক্ত বাংলার প্রথম নবরত্ন মন্দির। প্রাচীন এই মন্দির বর্ধমানের মানুষের কাছে পবিত্র তীর্থস্থান। রীতিনীতি মেনে আজও হয় দুর্গাপুজো। প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আসেন পুজো উপলক্ষে।’’ পুজোর প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে ৷
প্রতিবেদন : মালবিকা বিশ্বাস
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Anya puja 2021, District-durga-puja-2021, Durga Puja 2021