হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
খেতে দেয় না নাতনি-নাতজামাই, স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন ৯০ বছরের বৃদ্ধার

খেতে দেয় না নাতনি-নাতজামাই, স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন ৯০ বছরের বৃদ্ধার

এই আবেদন পেয়ে খোদ মহকুমা শাসকও কিছুটা স্তম্ভিত হয়ে যান। তিনি দ্রুত ওই বৃদ্ধার আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

  • Last Updated :
  • Share this:

    #কাকদ্বীপ: নব্বইয়ের এক বৃদ্ধা। বুধবার বেলায় কাকদ্বীপের মহকুমা শাসক শৌভিক চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেন এই বৃদ্ধা । এই আবেদন পেয়ে খোদ মহকুমা শাসকও কিছুটা স্তম্ভিত হয়ে যান। তিনি দ্রুত ওই বৃদ্ধার আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আজ বৃহস্পতিবার মহকুমা শাসকের অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৃদ্ধার আত্মীয়দের। মহকুমা শাসক শৌভিক চট্টোপাধ্যায় বলেন,‘‌ আবেদন পেয়েছি। ওঁর পরিবারের লোকেদের আসতে বলেছি।’‌ কাকদ্বীপের নারায়ণপুরের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন আগে তাঁর স্বামী মারা যান। বৃদ্ধার একমাত্র মেয়ে স্বামী পরিতক্ত্যা। তিনি মায়ের কাছেই থাকেন।

    বৃদ্ধার অভিযোগ, নাতনি ও নাতজামাই মিলে তাঁর সমস্ত সম্পত্তি হস্তগত করেছে। কাকদ্বীপের গনেশনগর এলাকায় বৃদ্ধার জমিতে বাড়ি করেছেন তাঁরা। সেই বাড়ি তৈরীতে করেছেন বৃদ্ধার টাকায়। বৃদ্ধাকে বাড়িতে থাকতে না দিয়ে ,একটি গোয়ালঘরে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বৃদ্ধা জমি বিক্রি করে কয়েক লক্ষ টাকা পোস্ট অফিসে মাসিক সঞ্চয় প্রকল্পে রেখেছিলেন। সেই টাকা ভুল বুঝিয়ে তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন নাত জামাই। তারপর দিনের পর দিন নিয়মিত খেতে দেওয়া হয় না। এমনকি অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন নাতনি ও নাতজামাই। প্রতিবাদ করলে জোটে মারধর। এখন প্রতিবেশীদের থেকে চেয়েচিন্তে চলছে তাঁর দিন। এই অবস্থায় তিনি স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন।

    ৯২ বছর বসয়ী বৃদ্ধা এদিন মহকুমা শাসকের অফিস থেকে বেরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন,‘‌ আমি আর বাঁচতে চাইনা। তাই আবেদন করতে এসেছি। আমার সম্পত্তি সব হাতিয়ে নিতে চাইছে। আমাকে খেতেও দেয়না। এর থেকে মৃত্যু ভাল।’ ‌এই ঘটনার পর বৃদ্ধার নাতজামাই বলেন,‘‌ দিদিমা আমাদের কাছেই থাকেন। আজ সকালেও একসঙ্গে চা খেয়েছি। পরে উনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। মানসিক ভারসম্য হারিয়েছেন। এক আত্মীয়ের প্ররোচনায় উনি এই অভিযোগ করছেন।’‌

    First published:

    Tags: Euthanasia, Kakdweep, Old Women