South 24 Parganas News: নাইলনের জাল ছিঁড়ে জঙ্গলের কোর এরিয়ায় ঢুকে নিজেরাই বিপদ ডাকছেন মৎস্যজীবীরা
- Published by:Ananya Chakraborty
- hyperlocal
Last Updated:
বিগত প্রায় দু বছর ধরে সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ, কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলার মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। বারে বারে মৎস্যজীবীদেরকে এ বিষয়ে সচেতন করা হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলে প্রবেশ করছেন তাঁরা।
#সুন্দরবনঃ বিগত প্রায় দু বছর ধরে সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ, কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলার মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। বারে বারে মৎস্যজীবীদেরকে এ বিষয়ে সচেতন করা হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলে প্রবেশ করছেন তাঁরা। আর সেখানে গিয়েই বাঘের হামলার শিকার হচ্ছেন।জঙ্গলে মৎস্যজীবীদের প্রবেশ আটকাতে ইতিমধ্যেই কোর এলাকা, যেখানে বাঘেদের ডেরা সেই এলাকা সংলগ্ন খাঁড়ি গুলিতে নাইলনের জাল দিয়ে প্রবেশের পথ বন্ধ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও সেখানে বিপদ সংকেতও ঝুলিয়ে দিচ্ছেন বনকর্মীরা। কিন্তু সেই বিপদ, সেই বাধা অতিক্রম করে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলের মধ্যে প্রবেশ করছেন মৎস্যজীবীরা।
মূলত কাঁকড়ার লোভেই খাঁড়ি পথ ধরে জঙ্গলের গভীরে ঢুকে পড়ছেন তাঁরা। এরপর নৌকা থেকে নেমে জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে কাঁকড়া সংগ্রহ করছেন। নিজেরা যখন কাঁকড়া সংগ্রহে ব্যস্ত থাকছেন মৎস্যজীবীরা, ঠিক সেই সময়ই সুযোগ বুঝে তাঁদের উপর হামলা করছে দক্ষিণ রায়। বারে বারে এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলেও সচেতন হচ্ছেন না মৎস্যজীবীরা। বন দফতর সূত্রের খবর, কাঁকড়ার বাজার মূল্য অনেক হওয়ার কারণেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন দফতরের বাধা অতিক্রম করে গভীর জঙ্গলে বাঘেদের ডেরায় প্রবেশ করছেন মৎস্যজীবীরা।
advertisement
advertisement
সম্প্রতি বন দফতরের কর্মীরা জঙ্গলে টহলদারির সময় লক্ষ্য করেন সুন্দরবনের আজমলমারি ১২, পিরখালি ৩ সহ একাধিক জঙ্গলে এই নাইলন নেট সরিয়ে মৎস্যজীবীরা জঙ্গলের মধ্যে প্রবেশ করেছেন। বারে বারে এই ঘটনায় যথেষ্ট চিন্তিত বন আধিকারিকরা। এ বিষয়ে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে, আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করেও প্রবনতা কমানো যাচ্ছে না বলে দাবি বনদফতরের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ২০২৩-এর সাগর মেলার তীর্থযাত্রীদের জন্য সুখবর! থাকছে ঢালাও স্বাস্থ্য পরিষেবা
“বন দফতরের তরফে নিয়মিত এলাকায় টহলদারি করা হয়। কিন্তু বেশিরভাগ মৎস্যজীবীই দিনের আলো ভালো করে ফোঁটার আগেই এই নাইলনের জাল কেটে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়ছেন। এতে বিপদেও পড়ছেন অনেকেই। অনেক সময় এঁদেরকে ধরে ফাইন করা থেকে শুরু করে সতর্ক করা হয়। কিন্তু বেশিরভাগই শোনেন না কথা।” যদিও মৎস্যজীবীদের দাবি, নদীর তুলনায় খাঁড়িতেই কাঁকড়া, মাছ বেশি পাওয়া যায়। সেই রাস্তাই বন্ধ করে দিয়েছে বন দফতর। মাছ, কাঁকড়া না ধরলে তাঁদের সংসার চলবে না। তাই বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন দফতরের নিষেধ অমান্য করেই জঙ্গলের ভিতর ঢুকতে হয়।
advertisement
Suman Saha
view commentsLocation :
First Published :
December 01, 2022 6:02 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ ২৪ পরগনা/
South 24 Parganas News: নাইলনের জাল ছিঁড়ে জঙ্গলের কোর এরিয়ায় ঢুকে নিজেরাই বিপদ ডাকছেন মৎস্যজীবীরা