Siliguri News: ডিজিটাল যুগে হারিয়েছে অ্যানালগ ঘড়ি, তবুও বেচেঁ আছে নির্মলবাবুর ঘড়ি মেরামতির দোকান
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- news18 bangla
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Watch Mechanic: পুরনো দিনের অ্যানালগ ঘড়ি আজ হারিয়ে যাবার মুখে। ধীরে ধীরে ডিজিটালাইজড হচ্ছে মানুষ। আর এই ডিজিটাল দুনিয়ায় এখনো ওয়াচ মেকানিক দের অবস্থা করুন। তবু অতীতের সেই নস্টালজিয়াকে ধরে রেখে আজও দোকানে বসছেন নির্মল বাবু।
অনির্বাণ রায়, শিলিগুড়ি : সময় যত এগিয়ে চলেছে মানুষ তত প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত হয়েছে। পুরনো দিনের অ্যানালগ ঘড়ি আজ হারিয়ে যাওয়ার মুখে। ধীরে ধীরে ডিজিটালাইজড হচ্ছে মানুষ। আর এই ডিজিটাল দুনিয়ায় এখনও ওয়াচ মেকানিকদের অবস্থা করুণ। তবু অতীতের সেই নস্টালজিয়াকে ধরে রেখে আজও দোকানে বসছেন নির্মলবাবু।
একটা সময় ঘড়ি খারাপ হলে ঘড়ির ডাক্তারের কাছে যেতেই হত, কারণ সময়টা খুব মূল্যবান। ঘড়ি ছাড়া চলবে কী করে? তাই ঘড়ির ডাক্তার নির্মল বাবুর দোকানে ভিড়ও হতো । হিলকার্ট রোডে রাস্তার পাশে ঘড়ি ঠিক করাতে আসত বহু মানুষ। তবে সে সব এখন অতীত।
আরও পড়ুন : জীবনযুদ্ধের লড়াই! টোটো চালিয়েই সংসার চলে প্রাক্তন সিপিআইএম কাউন্সিলরের
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সাল থেকে হিলকার্ড রোডের ধারে ঘড়ি ঠিক করার দোকান শুরু করেছিলেন নির্মল পাল। আজও যুগের তালে সেই ঘড়ির দোকান চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে তাঁর আক্ষেপ একটাই-ডিজিটাল জমানায় ফ্যান্সি ঘড়ির টানে মানুষ অ্যানালগ ঘড়ি কিনতে ভুলে গেছে । ফলে ঘড়ি খারাপ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই তাঁর দোকানে লোকের যাতায়াতও কমে গিয়েছে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : বর কনে দুজনেরই উচ্চতা ৩ ফুট, ভাইরাল নবদম্পতিকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিল নেটমাধ্যম
নির্মল বাবুর কথায় "গায়ের জোরে শখের বসে দোকান চালিয়ে যাচ্ছি। আমার বয়স এখন অনেক হয়েছে। লোকে অ্যানালগ ঘড়ি কেনা কমিয়েছে বলে আমার দোকোনে লোক সেভাবে আসে না । অতীতে ঘড়ি সমস্ত লোকের কাছেই খুব প্রয়োজনীয় একটা জিনিস ছিল। তাই ঘড়ি খারাপ হলেই আমার কাছে ছুটে আসত সকলে।কিন্তু এখন আসা যাওয়ার মাঝে ছোট ছোট জিনিস ঠিক করিয়ে নিয়ে যায়। ডিজিটাল ঘড়ি ঠিক করতেও পারি না। তাই ওটা নিয়ে মাথাও ঘামাই না।"
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
February 01, 2023 5:29 PM IST