দার্জিলিং: লামাহাটা ইকোপার্কের গল্প আমরা আগেই শুনেছি। তবে এই ইকো পার্কের উপর একটি জলাশয় রয়েছে যা সেক্রেট পন্ড বা পবিত্র জলাশয় হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। ইকোপার্ক যেখানে অবস্থিত সেই পাহাড়ের একেবারে উপরে এই জলাশয় রয়েছে। এই পুকুরটির একটি অত্যন্ত নৈসর্গিক সৌন্দর্য রয়েছে। এই পুকুরটি স্থানীয়দের দ্বারা পবিত্র বলে বিবেচিত।
পবিত্র পুকুরে পৌঁছানোর জন্য একটি সুনির্দিষ্ট বন পথের মধ্য দিয়ে একটি ছোট ট্রেক করতে হবে। ট্রেইলটি ইকো পার্কের ভিতর থেকে শুরু হয় এবং পুরানো পাইন গাছের সঙ্গে ঘেরা একটি সরু ঘুরপথের মধ্য দিয়ে এক কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে প্রায় আধঘন্টা সময় নেয়। পথটি একটু খাড়া এবং ছোট হলেও ট্রেক ক্লান্তিকর হতে পারে। আপনি যদি পুকুর পরিদর্শন করতে চান তবে সকাল বা বিকেলের সময় আপনার পরিদর্শনের পরিকল্পনা করুন।
আরও পড়ুনঃ স্থায়ী চিকিৎসকের অভাব, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক চালাচ্ছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্র
তবে এই পবিত্র জলাশয় ঘিরে রয়েছে অনেক ইতিহাস। কথিত রয়েছে লামাহাটা ইকো পার্কে একেবারে মাথায় দুটো পুকুর ছিল। যেটা স্থানীয়দের কাছে জোড়পখরি নামে পরিচিত। অর্থাৎ জোড়া পুকুর। পাহাড়ের একেবারে মাথায় এই দুটি পুকুরে দুটো রাজহাঁস ছিল। সেই রাজহাঁস দুটি সেই পুকুরকে অত্যন্ত পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন করে রাখত বলে দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয় একজন জানান, এই পুকুরে একটা পাতা পড়ে থাকতে দিত না রাজহাঁস দুটি। কিন্তু হঠাৎই কারো অজান্তেই একটি পাখি অদৃশ্য হয়ে যায়। তারপর থেকেই পুকুরের জল শুকিয়ে যায়। তারপর বন দফতরের লোক এসে কৃত্রিমভাবে একটি পুকুর তৈরি করেছে।
আরও পড়ুনঃ হাওড়া-ডিব্রুগড় কামরূপ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন কাফলার বিকল, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
তবে অন্য আরেকটি পুকুরে আজ পর্যন্ত জল জমে না। এবং বহু চেষ্টা করেও সেটি খনন করার কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে যারা অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী তারা অবশ্যই এই ঘন এই জঙ্গলে মাঝখান দিয়ে ট্রেক করে সেই জলাশয় যাওয়ার রাস্তাটা খুব উপভোগ করবেন , রাস্তার দু’ধারে কোন ঘন পাইনের জঙ্গল এবং সেই ঘন জঙ্গলের ফাঁকফোকর দিয়ে মাঝেমধ্যে উঁকি মারছে সূর্যের কিরণ যা এক আলাদা অভিজ্ঞতার সৃষ্টি করে। এছাড়াও ইকো পার্কের ভেতরে পাবেন পাইনের ঘেরা ঘন জঙ্গল তার সাথে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি প্রজাপতি অর্কিড অব্দি এখানে আপনারা দেখতে পাবেন ফুলের সম্ভার ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য প্রভৃতি হলো এই লামাহাট্টা ইকোপার্ক এর মূল বৈশিষ্ট্য ।
অনির্বাণ রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।