পূর্ব মেদিনীপুর: সরকারি প্রকল্পের সাবমার্সিবল পাম্প প্রভাব খাটিয়ে নিজের বাড়ির দোরগোড়ায় বসানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীদের একাংশ। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে শেষ পর্যন্ত জলের কল বসানোর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির ঘোষপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খাড়ু রাধানগর গ্ৰামের ঘটনা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য অনিন্দ্য ভূঁইয়ার বাড়ি থেকে ৫০ মিটার দূরেই একটি সাবর্মাসিবল পাম্প আছে। সেখান থেকে গ্রামের ১৫ ১৬ টি পরিবার খাবার জল সংগ্রহ করে, যার মধ্যে আছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবারও। কিন্তু ওই গ্রামের আরও বেশ কিছুটা দূরে যাদের বাড়ি সেখানে জল কষ্ট তীব্র আকার ধারণ করেছে। কেন সেই এলাকায় নতুন সাবমার্সিবল পাম্প না বসিয়ে কাছে জলের কল থাকা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির দোরগোড়ায় বসানো হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার দরুন প্রভাব খাটিয়ে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সরকারি প্রকল্পের সাবমার্সিবল পাম্প নিজের বাড়িতে বসানোর চেষ্টা করছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য।
আরও পড়ুন: মেলায় খেলা চলাকালীন ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, দর্শক আসনে ছিটকে এসে পড়ল বাইক
যদিও গ্রামবাসীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য অনিন্দ্য ভূঁইয়া। তাঁর দাবি, নিজের সুবিধার জন্য নয়, এই সাবমার্সিবল থেকে অন্যরাও জল পাবে। আগে যে জলের কানেকশন ছিল সেখান থেকে অল্প পরিমাণ জল বেরোয়। তাই বাড়ির সামনে নতুন সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হচ্ছে বলে তিনি যুক্তি দেন।
এই বিষয়ে পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি হানিফ মহাম্মদ জল সমস্যার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়ির সামনে সাবমার্সিবল বসানো হলেও ওই জল সকলে ব্যবহার করতে পারবে। তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধীদলের কিছু মানুষ রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যেই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এদিকে আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে ওই গ্রামের জলকষ্ট দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য অনিন্দ্য ভূঁইয়া।
সৈকত শী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।