#মেছেদা: জনবহুল বা ব্যস্ত রাস্তার পাশে জড়ো হচ্ছে জঞ্জাল। খোলা আকাশের নীচে জঞ্জাল জড়ো হওয়ায় ছড়াচ্ছে দূষণ। প্রতিদিনই অসংখ্য সাধারণ মানুষকে এই জঞ্জাল পেরিয়েই নিজেদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
মেদিনীপুর জেলার প্রবেশদ্বার মেছেদা। মেছেদায় রয়েছে রেল স্টেশন ও সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড। লোকাল ও প্যাসেঞ্জারের পাশাপাশি দূরপাল্লার ট্রেন মেছেদা রেল স্টেশনে থামে। প্রতিদিন গড়ে আশি হাজার মানুষ মেছেদা রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে করে নিজেদের গন্তব্যে যায়।
আরও পড়ুন- কেমন রয়েছে জেলার হাসপাতালগুলির অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা? দেখুন..
মেছেদা রেল স্টেশন সংলগ্ন রয়েছে সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রুটে অসংখ্য বাস যাতায়াত করে প্রতিদিন। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত অসংখ্য মানুষ মেছেদা থেকে নিজেদের গন্তব্যে যাতায়াত করে। মেছেদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা হলেও অনেক হোটেল, গেস্ট হাউস ও পথসাথী রয়েছে। ব্যস্ত মেছেদার এই রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় রয়েছে জঞ্জালের স্তূপ। হলদিয়া মেছেদা ১১৬ জাতীয় সড়কের পাশে স্থানীয় দোকানদার হোটেল ব্যবসায়ী থেকে খাবার দোকান সহ অন্যান্যরা প্রতিদিন জঞ্জাল জড়ো করছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রবেশদ্বার মেছেদা হওয়া সত্ত্বেও এবিষয়ে প্রশাসন নির্বিকার।
আরও পড়ুন- পরিবেশবান্ধব মাটির জলের বোতলে পটশিল্পের ছোঁয়া! হচ্ছে দেদার বিক্রি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জেলাজুড়ে ঘটা করে পালিত হয় স্বচ্ছ ভারত ও নির্মল বাংলা। কিন্তু হাল ফেরেনি মেছেদার অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির। এক শ্রেণির অসচেতন ব্যবসায়ীদের কারণে, মেছেদা এলাকায় ছড়িয়ে পড়া দূষণের শিকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ বিভাস রায় জানান, 'জল, বাতাস কিংবা মাটি দূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নীচে জঞ্জাল যাতে না জমা হয়, স্থানীয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।' স্থানীয় মানুষজনদের দাবি, শহরতলি মেছেদায় প্রশাসনের উদ্যোগে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোক আবর্জনা ফেলার জায়গা।
Saikat Sheeনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Medinipur, Garbage, Mecheda, Pollution