Purba Bardhaman: শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন প্রাথমিক ও হাইমাদ্রাসার দুই শিক্ষক
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
শিক্ষকতাকে শুধুমাত্র পেশা হিসাবে ভেবে নেওয়া নয়। পড়ুয়াদের সুশিক্ষিত করে তোলার কাজে অগ্রনী ভূমিকা নেওয়া শিক্ষকরা বরবরই সমাদর পেয়ে থাকেন।
#পূর্ব বর্ধমান : শিক্ষকতাকে শুধুমাত্র পেশা হিসাবে ভেবে নেওয়া নয়। পড়ুয়াদের সুশিক্ষিত করে তোলার কাজে অগ্রনী ভূমিকা নেওয়া শিক্ষকরা বরবরই সমাদর পেয়ে থাকেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার এমনই দু’জন শিক্ষক ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিনে পান রাজ্যের শিক্ষারত্ন সম্মান। ওই শিক্ষকরা হলেন খণ্ডঘোষের নিশ্চিন্তপুর হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহম্মদ উজির আলি এবং বর্ধমান শহরের শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যাপীঠ প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক পলাশ চৌধুরী। জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের বাদামতলা এলাকা নিবাসী পলাশ চৌধুরী ২০০০ সালে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালে তিনি বর্ধমানের শ্রীরামকৃষ্ণ সরদা বিদ্যাপীঠ প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেন।
এই স্কুলে প্রথম শ্রেণী থেকে চর্তুথ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। কোভিড অতিমারি ও লকডাউনের জন্য গত দু’বছর স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু এবছর তা বেড়েছে। বর্তমানে স্কুলে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ২০৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ৭ জন। কমিউনিটি সচেতনাতামূলক প্রচার, শিক্ষক বিহীন শ্রেণীতে পাঠদান, পাঠদানের জন্য বিভিন্ন নতুন পদ্ধতি তাঁরা ব্যবহার করেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় T.C.T এর Master trainner এর দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন। এই সবকিছুই হয়তো তাঁর শিক্ষক রত্ন সন্মান পাওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচিত হয়েছে বলেই মনে করছেন পলাশ বাবু।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুকুরে নেই জল, ভরেছে আগাছা! সমস্যায় পড়ছেন শ্মশানে আসা মানুষজন
আর এক শিক্ষক মহম্মদ উজির আলি বর্ধমানের বহিরসর্বমঙ্গলা পাড়ায় থাকেন। ইটাগড়িয়া গ্রামের স্কুলে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশুনা করার পর বর্ধমান টাউন স্কুল ও পরে সিএমএস স্কুলে পড়াশুনা করেন। স্নাতক স্তরের পড়াশোনা তিনি করেন বর্ধমান রাজ কলেজে। কল্যাণী ইউনিভার্সিটি থেকে গণিতে মাষ্টার ডিগ্রী অর্জন করার পর ইটাগড়িয়া হাই স্কুলেই তিনি প্রথম শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে ২০০৭ সালে তিনি খণ্ডঘোষের নিশ্চিন্তপুর হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্ব গ্রহন করেন। উজির আলির জানান, শিক্ষকতাকে শুধুমাত্র পেশা হিসাবে না ভেবে আন্তরিক ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানোর ব্যাপারে তাঁকে প্রেরনা জুগিয়েছেন তাঁর দাদা মহম্মদ ইয়াসিন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে শোভাযাত্রা পূর্ব বর্ধমানে
দাদার প্রেরণাকে কাজে লাগিয়েই তিনি তাঁর মাদ্রাসার পড়ুয়াদের মধ্যে ইনোভেটিভ চিন্তাভাবনা জাগানো ও শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে মান উন্নয়নের ব্যাপারে প্রথম থেকেই উদ্যোগ নেন। সেই মতো মাদ্রাসার রূপকেও সৌন্দর্যায়নে ভরিয়ে তোলেন। কো-ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসে তিনি তাঁর মাদ্রাসার পড়ুয়াদের আগ্রহী করে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। ২০১৯ সালে 'শিশুমিত্র’ পুরস্কার পান তিনি । এছাড়াও বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এমনকি ২০২১ সালে 'জামিনি’ পুরস্কারে জন্যেও তাঁর মাদ্রসা রাজ্য থেকে মনোনীত হয়।
advertisement
Malobika Biswas
view commentsLocation :
First Published :
September 05, 2022 4:37 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
Purba Bardhaman: শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন প্রাথমিক ও হাইমাদ্রাসার দুই শিক্ষক