পূর্ব বর্ধমান: পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি মানেই বড় বাড়ি, বড় গাড়ি এমনই ছবি দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গবাসী। পাঁচ বছর আগেও যে লোকটা হয়তো বিড়ি চেয়ে খেতো, সেই আজ কয়েক কোটি টাকার মালিক। এমনটাই বারবার অভিযোগ করে থাকে বিরোধীরা। অথচ গলসির রূপালি হাঁসদাকে উপরের একটি উদাহরণেও আটকাতে পারবেন না। তিনি গলসি-২ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ হয়েও ক্ষেতমজুরের কাজ করে সংসার চালান!
রূপালি হাঁসদা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বাড়ি গলসির সাটিনন্দী গ্রামে। অভাব-অনটন রূপালির সংসারে নিত্যসঙ্গী। পেটের ভাতের জন্য বাধ্য হয়ে পরের জমিতে ক্ষেতমজুর হিসেবে কাজ করেন। এলাকার মানুষের কাছে তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রশংসাই শোনা যায়। দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে কোনদিন কোনও বিষয়ে অর্থ আদায় করেছেন এমনটা ভুলেও কেউ বলতে পারবে না।
আরও পড়ুন: নিমতৌড়ি হোমের প্রতিবন্ধীদের তৈরি পাটের কাজ মুম্বই মাতাচ্ছে
তাঁর স্বামী কালীচরণ হেমব্রম পরিযায়ী শ্রমমিক। সংসারের ভারবহনের জন্য তিনি ভিন রাজ্যে কাজ করেন। তাদের নিজস্ব চাষের জমি নেই। পাকা বাড়ি নেই। মাটির যে বাড়িতে পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রূপালি হাঁসদা থাকেন সেটি যে কোনও মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে।
রুপালি হাঁসদার ভাসুর গোড়া থেকে রাজনীতি করেন। সেই সুত্রেই তিনিও প্রত্যক্ষ রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন। তবে বর্তমানে ব্যক্তিগত কাজের পাশাপাশি মানুষকে পরিষেবাও দেন সঠিকভাবে। নিজের সংসার চালাতে ক্ষেতমজুরি করলেও গ্রামের মানুষেরও খেয়াল রাখেন যথাযথভাবে। সব মিলিয়ে গলসির রূপালি বর্তমান বাংলার এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Agriculture, East Bardhaman news, TMC, West bengal