Viral News: যৌবন ধরে রাখার রহস্যের চাবিকাঠি, প্রতিদিন এক গ্লাস করে নিজের মাসদুয়েকের মূত্র পান করছেন যুবক!
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Man Drinks Urine Daily: ঘটনার সূত্রপাত প্রায় ছ’বছর আগে। মানে সেই ২০১৬ সালে। মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বছর চৌত্রিশের হ্যারি ম্যাটাডিন (Harry Matadeen)। সেই সময় থেকে এই সমস্যার সঙ্গে যুঝতেই নিজের মূত্রপানের পন্থা বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
#ViralNews: নিজের যৌবন ধরে রাখতে মানুষ কী না-করে! কিন্তু তা বলে এই কাণ্ড!
যাই হোক, বেশি হেঁয়ালি না-করে বিষয়টা ভেঙেই বলা যাক। নিজের মূত্রই পান করছেন হ্যাম্পশায়ারের এক যুবক। তা-ও আবার মাসদুয়েকের পুরনো মূত্র। আর যুবকের এই কীর্তিই সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে! এই অদ্ভুত অভ্যেসের কারণে পরিবারও সরে গিয়েছে দূরে। তাতেও কুছ পরোয়া নেহি! নিজের অভ্যেস কিছুতেই বদলাননি যুবক। এমনকী, এই অভ্যেস সম্পর্কে বইও লিখে ফেলেছেন ওই যুবক (Man Drinks Urine Daily)।
advertisement
ঘটনার সূত্রপাত প্রায় ছ’বছর আগে। মানে সেই ২০১৬ সালে। মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বছর চৌত্রিশের হ্যারি ম্যাটাডিন (Harry Matadeen)। সেই সময় থেকে এই সমস্যার সঙ্গে যুঝতেই নিজের মূত্রপানের পন্থা বেছে নিয়েছিলেন তিনি। ওই যুবকের দাবি, নিজের প্রস্রাব কোনও পাত্রে ধরে রাখেন এবং প্রতিদিন প্রায় ২০০ মিলিলিটার মূত্র পান করেন তিনি। আর এতে না কি হাতেনাতে পেয়েছেন উপকারও! তাঁর মনে এসেছে শান্তি এবং শান্তও হয়েছে মন।
advertisement
advertisement
শুধু তা-ই নয়, হ্যারি নিজের মূত্র পান করার পাশাপাশি চোখেমুখেও মূত্রের ছিটে দিয়ে নেন। এটাই না কি তাঁর চিরযৌবন ধরে রাখার গোপন রহস্য! এই প্রসঙ্গে হ্যারির দাবি, তাঁর রূপচর্চার অঙ্গ এই পুরনো মূত্র। মুখে তিনি তা ঘষে থাকেন এবং এতে না কি তাঁর ত্বক নরম ও জেল্লাদার হয়েছে।
advertisement
হ্যারি জানিয়েছেন, ইউরিন থেরাপির গুণাগুণ সম্পর্কে পড়েছিলেন তিনি। আর সেই উপকারিতার বিষয়ে পড়ে তবেই এই অভ্যেস নিজেও শুরু করেন। হ্যারি আরও বলেন, “আমি যখন এটা খাই, তখন বুঝতে পারি এর উপকারিতা। যা আমার কল্পনাশক্তিরও বাইরে! এটা খাওয়ার পর থেকে আমার মস্তিষ্ক ও মন উজ্জীবিত হয়েছে এবং আমার ডিপ্রেশনও উপশম হয়েছে। এমনকী আমার মনও শান্ত হয়েছে। আর এটা তো আমি বিনামূল্যেই পেয়ে যাচ্ছি! এমনকী এতে আমার শরীর এবং মন- দুইই সুস্থ থাকছে।”
advertisement
কিন্তু কীভাবে নিজের প্রস্রাব পান করেন হ্যারি? তিনি মূলত ভেগান ডায়েটে থাকেন এবং ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন। অর্থাৎ দিনের মধ্যে এক বারই খাওয়াদাওয়া করেন। হ্যারির দাবি, প্রতিদিন তিনি মাসখানেকের পুরনো ২০০ মিলিমিটার প্রস্রাব পান করেন। অবশ্য ওই পানীয়ের মধ্যে তিনি অল্প পরিমাণে টাটকা মূত্রও মিশিয়ে নেন। হ্যারির বক্তব্য, টাটকা প্রস্রাব কিন্তু সকলে যতটা খারাপ বলে মনে করেন, ততটাও নয়। আদতে এর কোনও সেরকম খারাপ গন্ধ বা স্বাদ থাকে না। কিন্তু এক মাসের পুরনো প্রস্রাবে কড়া গন্ধ হয়। আর স্বাদেও তা বেশ পরিশোধিত। তবে এর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে একটু সময় লাগেই। সেই সঙ্গে ওই যুবক আরও বলেন, “আমার আসলে এক মাসের পুরনো প্রস্রাবের গন্ধই এখন বেশি ভাল লাগে। আর এটা খাওয়ার পর নানা উপকার ও আনন্দ পাই আমি। সব মিলিয়ে এই ইউরিন থেরাপি আমার জীবনই বদলে দিয়েছে।”
advertisement
শুধু হ্যারিই নন, এর আগেও বহু মানুষ ইউরিন থেরাপির (Urine therapy) দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু এই বিষয়টির কি আদৌ কোনও ভিত্তি রয়েছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বক্তব্য, মূত্র তো শরীরের বর্জ্য। এর মধ্যে রয়েছে ৯০ শতাংশ জল, বাকি অ্যামোনিয়া এবং লবণ। শুধু তা-ই নয়, মূত্রে নানা রকম ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থও বিদ্যমান। তাই মূত্র পান করার অথবা ত্বকে প্রয়োগ করার কোনও উপকারিতা সম্পর্কে এখনও কোনও প্রমাণিত তথ্য কিন্তু নেই। বরং মূত্র পান করলে ডিহাইড্রেশন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ে এবং শরীরে ব্যাকটেরিয়ারও উপদ্রব তৈরি হয়। আর নির্দিষ্ট কারণেই বর্জ্য পদার্থ বর্জ্যই হয়!
Location :
First Published :
April 29, 2022 3:56 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Viral News: যৌবন ধরে রাখার রহস্যের চাবিকাঠি, প্রতিদিন এক গ্লাস করে নিজের মাসদুয়েকের মূত্র পান করছেন যুবক!