হাত ধরাধরি করে থানায় এসে দুই মেয়ে বলল, ‘স্যার, আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করুন’, তারপর যা হল…

Last Updated:

নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় দুই মেয়ে। বিয়ে তাঁরা করবেনই। রাজস্থানের পালি জেলার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

হাত ধরাধরি করে থানায় এসে দুই মেয়ে বলল, ‘স্যার, আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করুন’, তারপর যা হল… (Representative Image)
হাত ধরাধরি করে থানায় এসে দুই মেয়ে বলল, ‘স্যার, আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করুন’, তারপর যা হল… (Representative Image)
পালি, রাজস্থান: সকালবেলা। থানায় ব্যস্ততা তুঙ্গে। অফিসাররা ডিউটি বুঝে নিচ্ছেন। দম ফেলবার ফুরসত নেই। ঠিক তখনই হাত ধরাধরি করে থানায় ঢুকলেন দুই মেয়ে। সোজা ডিউটি অফিসারের টেবিলে। সাফ জানালেন, তাঁরা প্রেম করেন, এখন বিয়ে করতে চান। দুই মেয়ের বিয়েতে যাতে কেউ বাধা দিতে না পারে, সেটাই দেখতে হবে পুলিশকে। এমন ঘটনা শুনে তাজ্জব অফিসার। কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় দুই মেয়ে। বিয়ে তাঁরা করবেনই। রাজস্থানের পালি জেলার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পালি জেলার জৈতপুর থানার ঘটনা। রবিবার সকালে থানায় হাজির হন দুই তরুণী। তারপর সরাসরি বিয়ের অনুরোধ। দুজনকেই হাজার বুঝিয়েও সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেননি থানার পুলিশ কর্মীরা। তরুণীদের সাফ কথা, পরিবার, সমাজ না মানলেও কিছু যায় আসে না। শেষে বাধ্য হয়ে দুজনের পরিবারকে খবর দেয় পুলিশ। পরে তাঁদের পালির সখী সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের কাউন্সেলিং করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, দুই মেয়ের পাশাপাশি বাড়ি। একে অন্যের প্রতিবেশী। একজনের বয়স ২০ বছর। অন্যজন ২৫ বছর বয়সী। প্রথমে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। পরে ধীরে ধীরে সেই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হলে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তবে পরিবার যে এই বিয়ে মেনে নেবে না, সেটা তাঁরা জানতেন। তাঁদের ভয়েই দুই তরুণী জৈতপুর থানায় যান। সেখানে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তাকে বিয়ের কথা বলেন। আবেদন করেন, তাঁদের বিয়েতে যেন কেউ বাধা না দেয়, সেটা পুলিশকে দেখতে হবে। দুই তরুণীর এমন কথা প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার।
advertisement
“স্যার, আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করুন”: দুই তরুণী এসএইচও-র কাছে নিজেদের প্রেমের কথা জানায়। তারপর বলেন, “স্যার আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করুন। কেউ যেন বাধা দিতে না পারে”। এসএইচও প্রথমে দুজনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা নাছোড়। শেষে দুই তরুণীর পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয় না। দু’জনেই জানিয়ে দেন, পরিবারের অমতেই তাঁরা বিয়ে করবেন। এমনকী, তাঁরা আর বাড়ি যেতেও রাজি নন। শেষে সন্ধ্যায় দু’জনকে পালির সখী সেন্টারে কাউন্সেলিংয়ের জন্য পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
হাত ধরাধরি করে থানায় এসে দুই মেয়ে বলল, ‘স্যার, আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করুন’, তারপর যা হল…
Next Article
advertisement
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব, নস্যাৎ করলেন প্রশান্ত কিশোর
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব নস্যাৎ করলেন পিকে
  • 'যখন বিহারের মানুষই রাহুল গান্ধির কথা শুনছেন না, তখন Gen Z -রা কেন তার কথা শুনবেন?' বিহার নির্বাচনী আবহে রবিবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রশান্ত কিশোর

VIEW MORE
advertisement
advertisement