মহাজাগতিক ব্যাপারগুলো বেশ গোলমেলে হয়। আমরা তো জানি আধখানা চাঁদ থেকে ধীরে ধীরে গোল রুটির মতো চাঁদ আকাশে ভেসে ওঠে। সেই সব হতে সময় লাগে পনেরো দিন। কিন্তু এই মাসে অর্থাৎ চলতি অক্টোবরে তার অন্যথা হবে। পয়লা অক্টোবরে ইতিমধ্যেই ফুল মুন বা পূর্ণ চাঁদ দেখা গিয়েছে। হিসেব মতো সেটা আবার দেখার কথা নয় এই মাসে, পনেরো দিনের ব্যবধানে তো অমাবস্যা আসার কথা। কিন্তু আমাদের চাঁদ এ বার একটু ভানুমতীর খেল দেখিয়ে আবার পূর্ণ রূপে প্রকাশ পাবে ৩১ অক্টোবর। মুম্বইয়ের নেহরু প্ল্যানেটোরিয়ামের পক্ষ থেকে অরবিন্দ পরাঞ্জপে এই কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, এই আশ্চর্য মহাজাগতিক ঘটনা যখন ঘটে, অর্থাৎ আকাশে একই মাসে দু’খানা পূর্ণ চাঁদ দেখা যায় তখন দ্বিতীয় চাঁদটিকে ব্লু মুন বলা হয়। মুম্বইয়ের নেহরু প্ল্যানেটোরিয়ামের প্রধান এন রত্নশ্রী বলেছেন এই ‘ব্লু মুন’ কথাটি ক্যালেন্ডারের পারিভাষিক শব্দ। একই মাসে অর্থাৎ ৩০ দিনের মধ্যে ব্লু মুন দেখা মোটেই খুব সাধারণ ব্যাপার নয়। আর এই জন্যই ইংরেজিতে প্রবাদ এসেছে- ‘ওয়ান্স ইন আ ব্লু মুন’ অর্থাৎ যা কদাচিৎ হয়। তাই বলে সত্যি সত্যি যে চাঁদের রঙ নীল হয়, তা কিন্তু নয়।
হিসেব বলছে যে আজ থেকে তেরো বছর আগে ২০০৭ সালে জুন মাসে ব্লু মুন দেখা গিয়েছিল। তবে এই বছরের নীল চাঁদ দেখা যদি আপনার মিস হয়ে যায়, তা হলে কিন্তু বেশ অনেক বছর অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এই রকম ঘটনা আবার ঘটবে সেই ২০৫০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।
এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের যোগাযোগ শাখা বিজ্ঞান প্রসারের গবেষক টি ভেঙ্কটেশ্বরণ বলেছেন যে একই মাসে বা তিরিশ দিনের মাথায় দুটো পূর্ণ চাঁদ দেখার এই জটিল অঙ্ক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের উপরে ভিত্তি করে হিসেব করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে সারা বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই ক্যালেন্ডারই ব্যবহার করে থাকেন।
তবে ইসলামিক বা তিব্বতি ক্যালেন্ডার অনুসরণ করলে এ রকম কিছু হিসেব পাওয়া যায় না। চাঁদের অগ্রগতির উপর ভিত্তি করে যে ক্যালেন্ডার ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়, সেখানেও এই জাতীয় হিসেব দেখা যাবে না বলেই বিজ্ঞানী ভেঙ্কটেশ্বরণ জানিয়েছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Blue Moon, Full Moon, Lunar Year, Moon