অবসর নিয়ে ঘরে ফিরছিলেন জওয়ান; রেলস্টেশনে তাঁকে চমকে দিল কোন ঘটনা, দেখে নিন নিজেই

Last Updated:

মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার জাউরি গ্রামের সুভাষ সিং সিকারওয়ার ২৮ বছর পর বাড়ি ফিরলেন। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সুবেদারের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি।

অবসর নিয়ে ঘরে ফিরছিলেন জওয়ান; রেলস্টেশনে তাঁকে চমকে দিল কোন ঘটনা, দেখে নিন নিজেই
অবসর নিয়ে ঘরে ফিরছিলেন জওয়ান; রেলস্টেশনে তাঁকে চমকে দিল কোন ঘটনা, দেখে নিন নিজেই
আকাশ গৌর, মোরেনা: দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরছে গ্রামের ছেলে। তাঁকে স্বাগত জানাতে রাস্তায় ভেঙে পড়ল ভিড়। এই ছেলে তো যেমন তেমন ছেলে নয়। গ্রামের গর্ব।
মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার জাউরি গ্রামের সুভাষ সিং সিকারওয়ার ২৮ বছর পর বাড়ি ফিরলেন। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সুবেদারের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ফিরে আসেন নিজের গ্রামে। আর সেখানেই চমক অপেক্ষা করছিল তাঁর জন্য।
ঘরের ছেলে দীর্ঘদিন সেনা হিসেবে দেশের সেবা করেছেন। কর্তব্য সমাধা করে অবসর নিয়েছেন। তাঁর ঘরের ফেরার দিন গ্রামে শোভাযাত্রা বের করেন স্থানীয়রা। বীর বিজয়ীর মতো পুষ্পবৃষ্টি করে স্বাগত জানানো হয় তাঁকে। গলায় পরিয়ে দেওয়া হয় মালা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাঁধা হয়েছিল তোরণ। নিজের গ্রামের বাসিন্দাদের থেকে এমন অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানও। সুভাষ বলেন, ‘‘এই ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জীবনে কখনও ভুলতে পারব না।’’
advertisement
advertisement
শনিবার যখন তিনি মোরেনায় পৌঁছন তখন রেল স্টেশনেই ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। শুরু হয় গান-বাজনা। হুড-খোলা গাড়িতে সুভাষকে নিয়ে শুরু হয় শোভাযাত্রা।
সকলেই নিজের নিজের মতো গাড়ি, মোটরবাইক নিয়ে এসেছিলেন এই শোভাযাত্রায় যোগ দিতে। হাতে ছিল ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা। ঘন ঘন স্লোগান ওঠে ভারতমাতার নামে। শোভাযাত্রা গ্রামে ঢুকতেই শুরু হয় পুষ্পবৃষ্টি। গাড়ি যত এগিয়েছে ভিড় তত বেড়েছে। গ্রামের শিশু ও মহিলারা মাঝে মধ্যেই গাড়ি থামিয়ে তাঁর গলায় পরিয়ে দিয়েছেন মালা। তাঁরা জানিয়েছেন, সুভাষ সিং শুধু গ্রামের গর্বই নন। উনি গোটা গ্রামের কাছে অনুপ্রেরণা। গ্রামের বহু যুবকই এখন সেনায় যোগ দিতে উৎসাহী।
advertisement
কনস্টেবল থেকে সুবেদার হওয়া সুভাষ সিং বলেন, ‘‘একেবারে প্রথম থেকে গ্রামের মানুষ আমাকে অপার স্নেহ দিয়েছেন। ছুটিতে যখনই গ্রামে আসতাম এমনই ভালবাসা পেয়েছি।’’
১৯৯৫ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন সুভাষ। প্রশিক্ষণের পর তাঁর প্রথম কর্মস্থল ছিল জম্মু ও কাশ্মীর। তারপর থেকে বেশির ভাগ সময়ই তিনি কাটিয়েছেন জম্মুতে। কার্গিল যুদ্ধের সময় রাজৌরি এবং পুঞ্চ এলাকায় কর্মরত ছিলেন।
advertisement
সুভাষ বলেন, এখন চম্বলে কোনও ডাকাত নেই। এখানকার তরুণরা লেখাপড়া শিখে দেশের সেবা করতে প্রস্তুত। দৃঢ়তার সঙ্গে সব প্রতিকূলতার মোকাবিলা করেন তাঁরা।
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
অবসর নিয়ে ঘরে ফিরছিলেন জওয়ান; রেলস্টেশনে তাঁকে চমকে দিল কোন ঘটনা, দেখে নিন নিজেই
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement