West Bengal Leaders: বাংলার দুই নেতার সাক্ষাৎ-আলোচনা, 'বিষয়' নিয়ে মুখ না খোলাতেই জল্পনা হল তীব্র

Last Updated:

West Bengal Leaders: যদিও জন বা অনন্ত কেউই এই সাক্ষাৎ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।

দুই নেতার সাক্ষাৎ
দুই নেতার সাক্ষাৎ
রকি চৌধূরী, বানারহাট: হঠাৎ জন বারলার বাড়িতে অনন্ত মহারাজ। শনিবার বিকেলে দুই নেতার সাক্ষাৎকে ঘিরে ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক মহলে। যদিও জন বা অনন্ত কেউই এই সাক্ষাৎ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। দু’জনেরই বক্তব্য, এটা নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ। উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রিক কোনও আলোচনা জন বারলার সঙ্গে তাঁর হয়েছে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে অনন্ত বলেন, ‘উনি কি সরকার নাকি! এটা স্রেফ সৌজন্যমূলক আলাপ। আগেও তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে।‘
জন বারলা বলেন, ‘অনন্ত মহারাজের সঙ্গে জনমত আছে। সেই কারণে কেন্দ্র সরকার তাঁকে জায়গা দিয়েছে। তিনি তাঁর সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। আমিও ডুয়ার্সের উন্নয়নে নিজের সাধ্যমতো কাজ করেছি। এমপি, এমলএ না থাকলেও মানুষের জন্য সেই কাজ চালিয়ে যাব।‘ অনন্ত-বারলার মধ্যে তবে কি নয়া কোনও সমীকরণ তৈরি হচ্ছে? খানিকটা হেঁয়ালি রেখেই বারলা বলেন, ‘উন্নয়নই আমাদের সবার একমাত্র লক্ষ্য। সময় এলে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।‘
advertisement
advertisement
এদিন নয়াদিল্লি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে বাড়ি ফেরার পথে অনন্ত মহারাজ লক্ষ্মীপাড়ায় আসেন। বারলার বাড়িতে তাঁদের মধ্যে একান্তে প্রায় ঘণ্টাখানেক আলোচনা হয়। অনন্ত মহারাজ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে খুব বেশি কথা না বললেও জন বারলা বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারের কাছেই আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। ভবিষ্যতেও দাবি জানাব।‘
advertisement
এবারের চা বোনাস নিয়ে বারলা বেশ কিছু মন্তব্য করেন। ১৬ শতাংশে বোনাস ফয়সালা হওয়ার পেছনে কলকাতার বৈঠকে অংশগ্রহণকারী ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে সেইসময় দিল্লি ছিলাম। সে কারণে বোনাস বৈঠকে অংশ নিতে পারিনি। এজন্য আক্ষেপের অন্ত নেই। আমি থাকলে কিছুতেই ১৬ শতাংশে রফা হতে দিতাম না। ওই বৈঠকে উপস্থিত আমার লোকেরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। যে নেতা বা সাংসদ-বিধায়করা সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা চা শ্রমিকদের সঙ্গে ছেলেখেলা করে এসেছে। বোনাসের সময় এখন চা শ্রমিকরা কাঁদছেন। এজন্য ওই নেতারাই দায়ী।‘
advertisement
এর আগে কেন্দ্রের মন্ত্রী থাকাকালীন উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার কথা বলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন জন বারলা। অনন্ত মহারাজ বর্তমানে বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ। তিনিও নানা সময়ে নানা ধরণের মন্তব্য করেছেন। ফলে হঠাৎ করে দুজনের এই একান্ত বৈঠক নানা জল্পনার জন্ম দিচ্ছে।
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
West Bengal Leaders: বাংলার দুই নেতার সাক্ষাৎ-আলোচনা, 'বিষয়' নিয়ে মুখ না খোলাতেই জল্পনা হল তীব্র
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement