#মালদহ: অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। মালদহের যমজ বোন মাধ্যমিকে পেল সমান নম্বর। বরাবর একই স্কুলে, একই সঙ্গে দুজনের পড়াশোনা। কিন্তু দুজনের একই নম্বর এমন ঘটনা কখনও কি হতে পারে? আশ্চর্য হচ্ছেন সকলেই। সবাইকে অবাক করে দিয়ে যমজ বোনের প্রাপ্ত নম্বর প্রাপ্ত নম্বর ৫৩৮।
মালদহ গার্লস স্কুল থেকে এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে দুই বোন প্রাপ্তি ও প্রাচী। দুজনেই গান, ছবি আঁকা, হাতের কাজে সমান পারদর্শী। দুজনের পছন্দেও অনেক মিল রয়েছে। তবে মাধ্যমিকে দুজনের রোল নম্বরের পার্থক্য ছিল ৩২। আলাদা ঘরে বসে পরীক্ষা দেয় তাঁরা। বুধবার অনলাইনে মাধ্যমিকের রেজাল্ট দেখতে গিয়ে দুই বোনের সমান নম্বর পাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। প্রথমে সকলে ভাবেন ভুলবশত একই রোল নম্বর সম্ভবত দুবার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর কিছুক্ষনের মধ্যেই সকলের ভুল ভাঙে। দেখা যায় সত্যি দুজনে একই নম্বর পেয়েছে।
দুই বোনের মধ্যে একের জনের একেক বিষয়ে দখল বেশি। প্রাপ্তির দখল বেশী ইতিহাস, জীবন বিজ্ঞান, অঙ্কে। অন্যদিকে প্রাচী বাংলা,জীবন বিজ্ঞান,ভূগোলের মতো বিষয়ে তুলনায় ভালো। পড়াশোনার সময় একজন অন্যজনের দূর্বল বিষয়গুলিকে ‘গাইড’ করেছে। এভাবেই এসেছে সাফল্য। তবে প্রায় ৭৬ শতাংশ নম্বর পেলেও আরও একটু ভালো ফলের আশা ছিল বলে জানিয়েছে দুই বোন। যমজ দুই বোনের মধ্যে জন্মের সময়ের পার্থক্য প্রায় তিন মিনিট। দুজনের মধ্যে প্রাচী বরাবর পড়াশোনায় কিছুটা এগিয়ে। কিন্তু একই স্কুলে একসঙ্গে পড়লেও আগে কখনও এমনটা ঘটেনি। মাধ্যমিকে দুজনের বিষয় ভিত্তিক নম্বরে তফাৎ রয়েছে। কিন্তু সর্বমোট নম্বর একই।
জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাতেও ওরা সমান সফল। মা অর্চিতা ঘোষ দস্তিদার বলেন, কেউ কম বেশী নম্বর পেলে কারো মন খারাপ হতো। কিন্তু সমান নম্বর পেয়ে এখন সমান খুশি ওরা। খুশি ঘোষ দস্তিদার পরিবারও। প্রাপ্তি ও প্রাচী দুইজনেই চায় আগামীতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। জীবনের আগামী দিনে এভাবেই সমানে এগিয়ে চলতে চায় ওঁরা।
Sebak DebSarma
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।