#মালদহ: দেশভাগের যন্ত্রণা বুকে নিয়েই দুর্গার বাসাবদল। অবিভক্ত বাংলার নওগাঁর উমা এখন পুজো পান মালদহে। পুজোয় বাংলাদেশে বসাক পরিবারের ঠাকুরদালানে আজও ধূপবাতি জ্বলে। ধুপ দেখান সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা। মালদহে বসাকদের ঠাকুরদালান তখন পারিবারিক মিলনমেলা। পুজো শুরু বাংলাদেশে.....নওগাঁয়ে...বসাক পরিবারের কর্ত্রী গৌরীবালা দেবী শুরু করেন পুজো.......সালটা ১৯৩৫....তারপর পদ্মা-গঙ্গা দিয়ে বহু জল বয়ে গেছে.....১৯৬৪ সালে পুজো চলে আসে মালদহে.... উমার বাসাবদল ঘিরে আজও পরিবারের নানা গল্প...... দুর্গা পরিবারের মেয়ে। তাঁর জন্যই নাকি পরিবারের শ্রীবৃদ্ধি। জাঁক না থাকলেও....তাই আড়ম্বরের অভাব নেই পুজোয়। বনেদি নিয়মকানুন...কঠোর শৃঙ্খলায় বসাকদের নাটমন্দিরে জমজমাট পুজো। থানে ওঠানোর আগে চার মণ দুধে স্নান। তারপর শাঁখা-পলা, সোনার গয়না, বেনারসিতে রাজবেশ....থানে তোলার পর শীতলপাটি-পঞ্চকড়িতে হয় বোধন....শুদ্ধ ঘিয়ে তৈরি মহাভোগ হয় পুজোর চারদিন...অঞ্জলির নিয়ম শুধুই দশমীতেই। নবমীতে পাঁচ তরকারি, পায়েস, চাটনি ভোগ। দশমীর ভোগ, দই-খই। শেষবেলায় পারিবারিক ব্যবসার খাতা, সিঁদুর কৌটো পুজো করা হয় ৷ শেষে কনকাঞ্জলী। সন্ধেবেলা মহানন্দায় উমা বিদায়। বিসর্জন হয়ে গেলেই অপরাজিতা ও গঙ্গা পুজো হয় বসাকদের ঠাকুরদালানে। মেয়ের নিরাপদ যাত্রার লক্ষে। শেষে হয় মৎসমুখ। উৎসবের আবহে শিকড়ের টান। গানে, গল্পে, আড্ডায়, ভোজে দুর্গা মিলিয়ে দেয় ছড়িয়ে পড়া বসাক পরিবারকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Durga Puja 2018, Maldah, Traditional Puja