TMC: চোখের জলে বন্ধুর খুনে শোক প্রকাশ! মালদহে মমতার 'প্রিয়' নেতা খুনে সেই বন্ধুই গ্রেফতার! শুনে আঁতকে উঠবেন

আর এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে মালদহের। সঙ্গে আরও এক ব্যাক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনায় পুলিশ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিন নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকে গ্রেফতার করে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ। মালদহের তৃণমূল নেতা তথা কাউন্সিলর দুলাল সরকার ও শহর তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি জিগরি দোস্ত ছিলেন। দুই জনের বাড়ি শহরের মহানন্দাপল্লী এলাকায়। ছোট বেলা থেকেই তাঁদের বন্ধুত্ব। নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারির থেকে দুলাল সরকার কয়েক মাসের বড় ছিলেন। এমনকি একাধিকবার প্রকাশ্য নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকে বলতে শোনা গিয়েছে দুলাল সরকার তাঁর নেতা। বরকত সাহেবের হাত ধরে দুই বন্ধুর রাজনীতি শুরু। প্রথমে দুই বন্ধু কংগ্রেস কর্মী ছিলেন।‌

আরও পড়ুন: বড় ‘চাল’ ভারতীয় সেনার! পাকিস্তান বর্ডারে এবার সেনার সঙ্গে থাকবে ‘ওরা’! কারা? বাংলাদেশ সীমান্তেও একই প্ল্যান?

তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের পর দুলাল সরকার প্রথমদিকেই তৃণমূলে যোগদান করেন। অনেক পরে নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তখনও তাঁদের বন্ধুত্ব ভাল ছিল। বন্ধুত্বে চিড় ধরে ২০২২ সালের পুরসভা নির্বাচনের সময়। সেই সময় দুই নেতার ঘনিষ্ঠদের মধ্যে বিবাদ হয়। এমনকি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকেও মারধোর করা হয়। সেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেই ঘটনা এখন শিথিল হয়েছিল। ২০২৫ সালের প্রথমেই প্রকাশ্য খুন হন দুলাল সরকার। দুষ্কৃতীদের পুলিশ গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্তদের খোঁজ করছিল।

মঙ্গলবার দুপুরে নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকে পুলিশ। দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর এদিন সকালে গ্রেফতার করে। দুলাল সরকার খুনের পর শোকপ্রকাশ করেছিলেন নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি। চোখের জল ফেলে সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্মৃতি চারণা করেছিলেন বন্ধুর। অবশেষে বন্ধুকে খুনের ঘটনায় এখন তিনিই আসামির তালিয়ায়। যদিও এদিন গ্রেফতারের পর তিনি দাবি করেন তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। এর পেছনে অন্য কেউ রয়েছে।