Indian Army: বড় 'চাল' ভারতীয় সেনার! পাকিস্তান বর্ডারে এবার সেনার সঙ্গে থাকবে 'ওরা'! কারা? বাংলাদেশ সীমান্তেও একই প্ল্যান?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
- Reported by:Bibek Das
Last Updated:
Indian Army: বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বিস্ফোরক বা অন্যান্য সন্দেহজনক জিনিস খুঁজে বার করবার জন্য পুলিশবাহিনীতে বা সেনাবাহিনীতে স্নিফার ডগ এর বহুল ব্যবহার রয়েছে।
advertisement
বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বিস্ফোরক বা অন্যান্য সন্দেহজনক জিনিস খুঁজে বার করবার জন্য পুলিশবাহিনীতে বা সেনাবাহিনীতে স্নিফার ডগ এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। কুকুরের বুদ্ধিমত্তা এবং তার তীব্র ঘ্রাণশক্তি, এবং সেই সঙ্গে মানুষের নির্দেশ বোঝার ক্ষমতার জন্য বহু কাল ধরেই কুকুরদের এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
advertisement
সাম্প্রতিক সময় বিভিন্ন ভিভিআইপিদের আসা যাওয়ার পথ বা বিভিন্ন সভাস্থল যেখানে নাশকতার সম্ভাবনা থাকে, সেখানে অনুষ্ঠান শুরুর আগে বা মুভমেন্ট শুরু হওয়ার আগে স্নিফার ডগ দিয়ে নাকা চেকিংও করা হয়, এমনটা আমরা দেখেছি। আবার অনেক সময় অপরাধস্থল থেকে অপরাধীর গতিবিধির হদিস খুঁজবার জন্যও স্নিফার ডগ নামিয়ে তল্লাশি করা হয়, এ দৃশ্য খুব চেনা।
advertisement
advertisement
বিকানের রেঞ্জের বিএসএফ ডিআইজি অজয় লুথরা এ বিষয়ে সংবাদ সংস্থার সামনে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে এর আগে মধ্যপ্রদেশে কুকুরদের এই ধরনের ট্রেনিং দেওয়ার জন্য বিএসএফের বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। কিন্তু বর্তমানে চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রাজস্থানের বিকানেরও এই ধরনের ট্রেনিং সেন্টার খোলা হলো। যেখান থেকে এখনও অবধি কুড়িটি বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর বিএসএফের জওয়ানদের সঙ্গে বিশেষ ভাবে সীমান্ত সুরক্ষার কাজ করছে।
advertisement
এবং আরও ৩২ টি কুকুরের ট্রেনিং চলছে ইতিমধ্যে বিকানেরের এই বিশেষ ট্রেনিং সেন্টারে। বিএসএফে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয়দের ব্যবহার আগে থেকেই ছিল। কিন্তু সীমান্ত সুরক্ষাতে বিশেষভাবে ট্রেনিং দিয়ে প্রশিক্ষিত কুকুরের ব্যবহার এই প্রথম ব্যাপকভাবে শুরু হতে চলেছে বলে জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, এতে একদিকে যেরকম নজরদারির ধার এবং বহর বাড়বে, সেই সঙ্গে মানুষের চোখ এড়িয়ে যায় এমন ক্ষেত্রেও কার্যত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যাবে।
advertisement
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ভারত পাকিস্তান সীমান্তে আপাতত এই প্রশিক্ষিত কুকুরদের ব্যবহার করা হলেও আগামী দিনে সারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকাতেই এই ধরনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরদের নিয়োগের সংখ্যা বাড়াবে। বিশেষ করে ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা যেখানে অনেক অংশই কার্যত কাঁটাতারের বেড়া বিহীন, এখানে অনুপ্রবেশ রুখতে এই ধরনের সারমেয়দের ব্যবহার খুবই উপযোগী হবে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।