উৎসবের মরশুমে চাকরিহারা! একধাক্কায় কর্মহীন 'এই' দফতরের একাধিক কর্মী, মাথায় হাত পরিবারের

Last Updated:

South Dinajpur News: এই কর্মীদের কেউ ৪০ বছর কেউ ৩০ বছর কাজ করছেন। তিন মাসের বেতন না মেলার পর সোজা চাকরিহারা! এই তুঘলকি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ৩০ জন কর্মী তাঁদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে এদিন অফিস এসে ক্ষোভ ও ধর্না শুরু করেন।

+
কর্মহীন

কর্মহীন অস্থায়ী কর্মী

দক্ষিণ দিনাজপুর, সুস্মিতা গোস্বামীঃ উৎসবের মরশুমে হঠাৎ কর্মহীন। জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতরের ৩০ জন কর্মীর চাকরি হারিয়ে মাথায় হাত। এমনিতেই তিন মাসের বেতন পাননি। তার উপর দৈনিক বেতনে চাকরি করা এই অস্থায়ী কর্মীদের চাকরি চলে যাওয়ার কথা ঘোষণা করল সংশ্লিষ্ট দফতর।
জানা যাচ্ছে, সমগ্র জেলায় মোট ৩০ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মধ্যে ৮ জনের ৬০ বছর বয়স পেরিয়ে গিয়েছে বলে জানান জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতরের আধিকারিকরা। কিন্তু অস্থায়ী পদে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ লক্ষ টাকা করে এককালীন সরকারি অনুদান পাওয়ার কথা। কিন্তু তাঁদের সেই টাকার ব্যবস্থাও করতে পারেনি এই বিভাগ। দফতরের এই তুঘলকি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ৩০ জন কর্মী তাঁদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে এদিন অফিস এসে ক্ষোভ ও ধর্না শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গ বিপর্যয়ের শিকার! বাংলাদেশ থেকে উদ্ধার ভারতের গণ্ডারের মৃতদেহ, বাড়ছে বন দফতরের চিন্তা
এই কর্মীদের কেউ ৪০ বছর কেউ ৩০ বছর কাজ করছেন। আর এল আই অর্থাৎ নদী থেকে জমিতে সেচ প্রকল্পের আওতায় শুধু পাম্প সেট চালানো নয়, তার বাইরেও নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয় তাঁদের। এই কর্মীরা মূলত বিভিন্ন পাম্প, জেনারেটর চালানো, গাড়ির ড্রাইভার ও অফিসের কাজ করেন। উৎসবের আবহে বকেয়া বেতন না পাওয়া ও কাজ চলে যাওয়ায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
advertisement
advertisement
জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতরের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার পার্থ দে নিজেই স্বীকার করেছেন ডিপার্টমেন্টে কর্মী সংখ্যা অত্যন্ত কম। তারপরেও যদি এই ধরণের কর্মীদেরও ছাঁটাই শুরু হয় তাহলে মুশকিল হয়ে যাবে। তবে যাদের বয়স রয়েছে তাঁদের ফের কীভাবে কাজে পুনর্বহাল করা যায় সেই প্রচেষ্টা চলছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে কর্মীদের দাবি, এই সমস্ত কর্মীদের চাকরি যাতে পুনর্বহাল করা হয়। সেই সঙ্গেই যতক্ষণ না তাঁদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে দিতে হবে। এই সমস্যার সমাধান না হওয়া অবধি তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, প্রয়োজনে অফিসে তালা মেরে অফিস অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি কর্মহীন অস্থায়ী কর্মীদের।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
উৎসবের মরশুমে চাকরিহারা! একধাক্কায় কর্মহীন 'এই' দফতরের একাধিক কর্মী, মাথায় হাত পরিবারের
Next Article
advertisement
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব, নস্যাৎ করলেন প্রশান্ত কিশোর
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব নস্যাৎ করলেন পিকে
  • 'যখন বিহারের মানুষই রাহুল গান্ধির কথা শুনছেন না, তখন Gen Z -রা কেন তার কথা শুনবেন?' বিহার নির্বাচনী আবহে রবিবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রশান্ত কিশোর

VIEW MORE
advertisement
advertisement