Siliguri News: বড়দিনের কাউন্টডাউন শুরু শিলিগুড়িতে, সামনে থেকে দেখল পথশিশুরা! সময় এলেই পাওয়া যাবে সুস্বাদু কেক

Last Updated:

Siliguri News: পথশিশুদের হাসিতে মিশল বড়দিনের স্বাদ। পর্যটন ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে কেক মিক্সিংয়ে মানবিক বার্তা শিলিগুড়িতে।

+
পথশিশুদের

পথশিশুদের হাসিতে বড়দিনের প্রস্তুতি!

শিলিগুড়ি, ঋত্বিক ভট্টাচার্য: বড়দিন এলেই চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে কেকের মিষ্টি গন্ধ। পাশ্চাত্যের ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবের ধারা আজ দেশ-বিদেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে বাংলাতেও। বড়দিনের আগে সেই প্রস্তুতিরই এক বিশেষ অধ্যায় কেক মিক্সিং উৎসব। সাত সমুদ্র পেরিয়ে এবার সেই উৎসবের রঙে রাঙল শিলিগুড়ি। শহরের তানিয়াস হোটেলে সম্প্রতি আয়োজিত হল এক বর্ণাঢ্য কেক মিক্সিং অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন শহরের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তানিয়াস হোটেলের ম্যানেজার ও সদস্যদের পাশাপাশি শেফ, হোটেল কর্মী, আবাসিক ও অতিথিরা সকলে মিলেই অংশ নেন এই আনন্দঘন মুহূর্তে।
বড়দিনের আগে কেক তৈরির প্রস্তুতি হিসেবে সবাই একসঙ্গে মিশে যান উৎসবের আনন্দে। ইতিহাস বলছে, সপ্তদশ শতকে ইংল্যান্ড ও পোল্যান্ডে কেক মিক্সিং উৎসবের সূচনা হয়। বিভিন্ন ফল, বাদাম, টুটিফ্রুটি, কিশমিশ, খোবানি, চেরি, ডুমুর, ক্র্যানবেরির সঙ্গে ওয়াইন, রাম, বিয়ার বা হুইস্কির মতো উপাদান মিশিয়ে তৈরি হয় এই বিশেষ কেকের মিশ্রণ। এই মিশ্রণ ১২ থেকে ১৫ দিন রেখে দেওয়ার পর বড়দিনের আগে তা থেকে তৈরি হয় পাম কেক বা ফ্রুট কেক, যা ভাগ করে নেওয়াই এই উৎসবের মূল ভাবনা। তবে এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল পথশিশুদের উপস্থিতি।
advertisement
advertisement
প্রথমবারের মতো চোখের সামনে এমন কেক মিক্সিং উৎসব দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে শিশুরা। তাদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়। ইউনিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পথশিশুদের এই অনুষ্ঠানে যুক্ত করা হয়, যাতে উৎসবের আনন্দ শুধু চার দেওয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। অনুষ্ঠানে ইউনিক ফাউন্ডেশনের তরফে গীতিকা পাল বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। বড়দিনের মতো উৎসব শুধু আনন্দের নয়, ভাগ করে নেওয়ারও শিক্ষা দেয়। পথশিশুরাও যে সমাজেরই অংশ, সেই বার্তাই আজকের এই কেক মিক্সিং অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উঠে এসেছে। শিশুদের মুখের হাসিই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ভবিষ্যতেও এমন মানবিক উদ্যোগের সঙ্গে আমরা পাশে থাকতে চাই।” অনুষ্ঠানে পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল জানান, কেক মিক্সিং আসলে মিলন উৎসব। যত বেশি দিন এই মিশ্রণ ওয়াইন বা রামে ভেজানো থাকে, কেকের স্বাদ তত উন্নত হয়। তিনি বলেন, বাঙালিরা সব উৎসবকেই আপন করে নিতে জানে। সেই ভাবনাতেই এই পাশ্চাত্য উৎসবকে বাংলার মাটিতে মানবিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা। পথশিশুদের সঙ্গে বড়দিনের প্রস্তুতিতে সামিল করে শিলিগুড়ির তানিয়াস হোটেলের এই কেক মিক্সিং অনুষ্ঠান যেন উৎসবের সঙ্গে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার বার্তাও ছড়িয়ে দিল। বড়দিনের আগেই শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আনন্দ, সহমর্মিতা আর ভাগ করে নেওয়ার স্বাদ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Siliguri News: বড়দিনের কাউন্টডাউন শুরু শিলিগুড়িতে, সামনে থেকে দেখল পথশিশুরা! সময় এলেই পাওয়া যাবে সুস্বাদু কেক
Next Article
advertisement
CPIM: মহিলাদের কাজ শুধু স্বামীর শয্যাসঙ্গিনী হওয়া! কেরলের সিপিএম নেতার মন্তব্যে নিন্দার ঝড়
মহিলাদের কাজ শুধু স্বামীর শয্যাসঙ্গিনী হওয়া! কেরলের সিপিএম নেতার মন্তব্যে নিন্দার ঝড়
  • কেরলের সিপিআইএম নেতার বিতর্কিত মন্তব্য৷

  • মহিলাদের কাজ শুধু স্বামীদের শয্যাসঙ্গিনী হওয়া, দাবি সিপিএম নেতার৷

  • বিতর্কিত সিপিএম নেতা সৈয়দ আলি মাজিদ৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement