#শিলিগুড়ি: বাড়ছে গ্রাফ। সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তবু শহরের একাধক জায়গায় সেই চেনা অসাবধানতার ছবি। প্রশ্ন একটাই, এঁরা কবে সচেতন হবে? আদৈও কি হুঁশ ফিরবে? গ্রাফ কমাতে আজ থেকে রাজ্যজুড়ে আংশিক লকডাউন শুরু হয়েছে। নির্দেশিকা কি প্রথম দিনে মানল শহর শিলিগুড়ি? উত্তর এলো "না"!
পাড়ায় পাড়ায় দিনভর খোলা রইলো সব দোকানই। একাধীক বাজার চললো দুপুর ১টা পর্যন্ত। বাজারেও সেই থিক থিক ভিড়। অনেকেরই মুখ মাস্কহীন! দূরত্ব বিধির কথা ছেড়েই দিলাম! দিনভর শহরের সব প্রান্তেই চললো পুলিশের মাইকিং। আংশিক লকডাউন মেনে চলার নির্দেশিকা। কিন্তু বিধান মার্কেট থেকে সুভাষপল্লী বাজার, গেটবাজার থেকে চম্পাসারী মার্কেট, সর্বত্রই অসচেতনতার ছবি ধরা পড়লো। পুলিশ গিয়ে বন্ধ করালো দোকান। যেখানে সরকারী নির্দেশিক্য বলা হয়েছে বাজার খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত। সেখানে সকালেই বাজার কোথাও খোলা রইলো ১২টা পর্যন্ত, কোথাও আবার দুপুর ১টা পর্যন্ত। প্রথম দিন পুলিশ গিয়ে সতর্ক করে আসে। সন্ধ্যেতেও নির্দিষ্ট সময়সীমা লঙ্ঘন করলো অনেক ব্যবসায়ীই। এদিকে গ্রাফ বেড়েই চলেছে শিলিগুড়িতে। প্রতিদিনই ভাঙছে তার আগের দিনের আক্রান্তের গ্রাফ। গত ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিংয়ের পাহাড় এবং সমতলের চার ব্লক ও শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ড মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭৮ জন! যার মধ্যে পুর এলাকাতেই ২৬৭ জন! গ্রামীন এলাকার পাশাপাশি পাহাড়ী এলাকাতেও দ্রুত আছড়ে পড়ছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ! যেখানে বেডের সংখ্যা অপ্রতুল, অক্সিজেনের সংখ্যা কম, সেখানে কেন এই উদাসীনতা সাধারন মানুষদের? চিকিৎসকেরা বলছেন, এক্ষুনি সতর্ক না হলে বা কোভিড বিধি মেনে না চললে আগামীদিনে সামলানো যাবে না এই করোনার ঢেউ! অন্যদিকে সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। ফের তালা পড়ছে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ হচ্ছে সাফারি পার্কের দরজা। আজ থেকেই বন্ধ হয়ে গেল টয়ট্রেনের জয় রাইডও! দার্জিলিং, বাতাসিয়া লুপ ওবং ঘুম স্টেশনের মধ্যে চলাচলকারী জয় রাইড পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
Partha Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus