ধূপগুড়ি : মায়ের পর বাবাকে দুর্ঘটনায় হারিয়ে অসহায় অবস্থা তিনভাই বোনের । অভিভাবক বলতে বর্তমানে কেউ নেই৷ কী করে পড়াশোনা চলবে এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় অনাথ তিন ভাইবোন। তাদের অসহায়তার কথা শুনে পাশে এসে দাঁড়ালেন ধূপগুড়ি থানার পুলিশ আধিকারিকরা।
ধূপগুড়ি পুরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডের অনাথ সেই তিন ভাইবোনের হাতে বই, খাতা, ব্যাগ-সহ কিছু নগদ টাকা তুলে দিলেন ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা। এদিন আইসি সুজয় তুঙ্গা তাদের বাড়িতে যান এবং তিন ভাই- বোনকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য গত ৫ ই এপ্রিল ধূপগুড়ি ১৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গ্যারেজকর্মী দিলীপ রায় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। ফলে আগেই মাকে হারানো তিন সন্তান বাবাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। তাই এ দিন সেই তিন ভাই বোনের সঙ্গে দেখা করেন আইসি এবং তাদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন৷ সেইসঙ্গে তাদের সমস্যা হলেও জানাতে বলেন তিনি।
আরও পড়ুন : ১ লক্ষ মেট্রিক টন আমের ফলন কম মালদহে! সাধারণের নাগালের বাইরে যেতে পারে আমের দাম
অভিভাবকহীন সন্তান সঞ্জীব বলে, ‘‘ আমি মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছি৷ আগামীতে কীভাবে চলব, কী করব তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। ধূপগুড়ি থানার আইসি সাহেব এবং পুলিশ আধিকারিকরা বইখাতা কিনে দিয়ে গেলেন। সেইসঙ্গে নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়ে বলেছেন যে কোনও রকমের সাহায্যের প্রয়োজন হলে তাঁকে জানাতে। আমরা খুব খুশি আমাদের পাশে সকলে দাঁড়াতে চেয়েছেন, আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন ।’’
আরও পড়ুন : গাছ, স্কাইস্ক্র্যাপার নাকি জলপ্রপাত? ছবিতে যা দেখছেন, তাতেই বোঝা যাবে আপনার জীবনের স্বপ্ন
আরও পড়ুন : ভিডিও দেখলে গায়ে কাঁটা দেবে! নিজের জীবন তুচ্ছ করে গভীর সমুদ্রে লাইফগার্ডের প্রাণ বাঁচালেন সার্ফার!
ধূপগুড়ি থানার আই সি সুজয় তুঙ্গা বলেন, ‘‘পুলিশ সবসময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সেইমতো এই তিন শিশুর কথা জানতে পারি। তাই ওদের বাড়িতে এসে তাদের সঙ্গে দেখা করেছি এবং সামান্য কিছু সাহায্য করেছি এবং পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি।’’
( প্রতিবেদন : শেখ রকি চৌধুরী)
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।