#শিলিগুড়ি: ঐতিহ্যবাহী শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনকে সাজিয়ে তুলবে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। আজ টাউন স্টেশন পরিদর্শনের পর একথা জানান কাটিহারের ডিআরএম এসকে চৌধুরী। টাউন স্টেশনকে ঘিরে নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গড়ে তোলা হবে মার্কেটিং কমপ্লেক্স। রেলে'রই জমি ভূমি দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তারাই মাল্টি শপিং কমপ্লেক্স তৈরি করবে। বেদখল হয়ে যাওয়া রেলের জমি পুনরুদ্ধার করা হবে। সেই জমিতেই অত্যাধুনিক শপিং কমপ্লেক্স করা হবে। আজ স্পষ্ট করে বলেছেন ডিআরএম। অর্থাৎ বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে হেরিটেজ স্টেশনকে। সেই মাল্টি কমপ্লেক্সে কী কী থাকবে তা অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
রেলের বেদখল হয়ে যাওয়া জমি আগে ফিরিয়ে আনবে রেল। তারপর ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হবে। সংস্কার করা হবে টাউন স্টেশনের। রেল সূত্রে খবর, জরাজীর্ণ অবস্থা থেকে 'নিউ লুকে' ফিরিয়ে আনা হবে শহরের গর্ব টাউন স্টেশনকে। আজ স্টেশন চত্বর পরিদর্শনে ছিলেন ডিএইচআর-এর ডিরেক্টর সহ পদস্থ কর্তারাও। তবে শিলিগুড়ি পুরসভা টাউন স্টেশনকে সংস্কার করার যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা এখনও রেলের কাছে আসেনি বলে জানান ডিআরএম।
প্রসঙ্গত গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসের অঙ্গ হিসেবে ঐতিহ্যশালী টাউন স্টেশনের গরিমা ফেরানোর দাবিতে সরব হয় অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজার্ভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের সদস্যরা। হাল ফেরাতে কর্মসূচিও নেওয়া হবে বলে জানান সংগঠনের প্রধান রাজ বসু। ওইদিনই শিলিগুড়ির পুরপ্রশাসক গৌতম দেব ঘোষণা করেন, স্টেশনের সংস্কার এবং সৌন্দার্যায়নের দায়িত্ব রেল দিলে তা করবে পুরসভা।
আরও পড়ুন: শুধু মণ্ডপেই 'নো এন্ট্রি' নয়, এবারের পুজোয় আরও যে নিয়মগুলি মানতেই হবে...
স্টেশনের হেরিটেজ তকমা ধরে রাখতে হবে। টাউন স্টেশন থেকে জংশন পর্যন্ত রেললাইনের দু'পাশ সৌন্দর্যায়নের চাদরে মুড়িয়ে ফেলা হবে। কারণ, এই স্টেশন থেকেই প্রথম টয়ট্রেন পরিষেবা চালু হয়। অথচ আজ এই স্টেশনেই দাঁড়ায় না টয়ট্রেন। কার্যত অবহেলিত রবীন্দ্রনাথ, মহাত্মা গান্ধী, চিত্তরঞ্জন দাস, নেতাজি সুভাষস্মৃতি বিজরিত টাউন স্টেশন। ১৮৭৮ সালে তৈরী হয় এই স্টেশন। যাকে ঘিরে গড়ে ওঠে আজকের শিলিগুড়ি। একমাত্র এই স্টেশনেই রয়েছে মিটার গ্রজ, ন্যারো গেজ এবং ব্রড গেজ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।