Netaji Subhas Chandra Bose Home:হরিপুরা কংগ্রেসের ভাষণ লেখা, বাগানে কচিকাঁচাদের সঙ্গে লুকোচুরি...পাহাড়ি পাকদন্ডি বেয়ে এ বাড়িতে ভেসে বেড়ায় নেতাজির স্মৃতি

Last Updated:

Netaji Subhas Chandra Bose Home:দার্জিলিংয়ের কার্শিয়াংয়ের গিদ্দা পাহাড়ের যে ঠিকানায় বর্তমানে রয়েছে নেতাজি মিউজিয়াম, সেখানেই একসময় 6 মাস গৃহবন্দি ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু ৷ 

+
এই

এই বাড়িতেই গৃহবন্দি ছিলেন নেতাজি

অনির্বাণ রায়, কার্শিয়াং: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তখন কার্শিয়াং-এর গিদ্দা পাহাড়ে। সালটা ১৯৩৬। তিনি তখন ব্রিটিশ সরকারের নজরবন্দি। সেই সময় সাত মাসের জন্য তিনি এখানে এসে এই বাড়িটিতে ছিলেন। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৩৭ সালের অক্টোবর মাসে তিনি আবার এখানে আসেন। এখান থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক চিঠি তিনি পাঠিয়েছিলেন। তাছাড়া স্ত্রী এমিলিয়েকেও অনেক চিঠি এখান থেকে লিখেছিলেন। ২০০৫ সালে কলকাতা মিউজিয়ামের তত্ত্বাবধানে এই বাড়িটি মিউজিয়ামে পরিণত হয়। তবে এই চিঠিটি ছাড়া নেতাজির লেখা আরও চিঠি সেখানে সযত্নে রাখা আছে।
কার্শিয়াং-এর গিদ্দা পাহাড়ে নেতাজি স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটিতে এসব মূল্যবান ঐতিহাসিক চিঠি ছাড়া নেতাজির অনেক ছবি আছে। নেতাজি এখানে এসে মর্নিংওয়াক করতে বের হতেন। পাগলাঝোরাতে পাহাড়ি ঝর্নার ধারে নেতাজির মর্নিংওয়াকের ছবিও আছে এখানে। বসু পরিবারের সঙ্গে নেতাজির তোলা অনেক ছবিও আছে। তার বাইরে নেতাজির ব্যবহার করা খাট, ড্রেসিং টেবিল, লেখাপড়ার টেবিল, চেয়ার সবই আছে। নেতাজির দাদা শরৎচন্দ্র বসু ১৯৩৪ সালে ক্যামেলিয়া গাছ সেখানে লাগিয়েছিলেন। আজও তা রয়ে গিয়েছে।।
advertisement
নেতাজি ইন্সটিটিউট ফর এশিয়ান স্টাডিজের তত্ত্বাবধানে সেই ঐতিহাসিক বাড়ি এখন নেতাজি মিউজিয়াম। আর সেখানে কেয়ারটেকার হিসাবে রয়েছেন পদমবাহাদুর ছেত্রি। তাঁদের কাছ থেকেই জানা গিয়েছে, নেতাজির দাদা স্বাধীনতা সংগ্রামী শরৎচন্দ্র বসু এই বাড়িটি ১৯২২ সালে কিনে নেন সেই সময়ের অসম পুলিশের ডেপুটি সুপার পিটার লেসলির কাছ থেকে। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাড়িটি বসু পরিবারের অধীনে ছিল। ১৯৯৭ সালে রাজ্য সরকার বাড়িটি সংস্কার করে। নতুন মিউজিয়াম আকারে বাড়িটি ২০০০ সালে উদ্বোধন হয়। হরিপুরা কংগ্রেসের ভাষণ এই বাড়িতে বসেই লিখেছিলেন নেতাজি। এখান থেকে গান্ধীজি ও জওহরলাল নেহরুকেও তিনি চিঠি লিখেছিলেন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : সংগ্রামের পীঠস্থানে মন্দির নগরী, জানুন কংসাবতীর তীরে টেরাকোটার প্রাচীন মন্দিরের অন্দরকথা
বসু পরিবারের সদস্যরা প্রতি বছর গরমের ছুটি বা পুজোর ছুটিতে এই বাড়িতে এসে সময় কাটাতেন। আর সেই বসু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নেতাজিও এসেছেন বেশ কয়েকবার। ১৯২২ থেকে ১৯৩৯ পর্যন্ত তার তথ্য আছে সেখানে। নেতাজি এখানে গৃহবন্দি থাকার সময় চৌকিদারের মাধ্যমে গোপনে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে অনেক নির্দেশ পাঠিয়েছেন। আবার এই বাড়িতে বসেই নেতাজি ভাইপো ভাইঝিদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলেছেন। তাদের দোলনায় চড়িয়েছেন। বসু পরিবারের সদস্য শিশির বসু, কৃষ্ণা বসুদের কাছ থেকে ১৯৭৩ সালে প্রতিদিন ২ টাকা হাজিরায় এই বাড়ি দেখভালের কাজ পান পদমবাহাদুর ছেত্রি। ১৯৯৬ সালে রাজ্য সরকার এটি সংস্কারের দায়িত্ব নেয়।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Netaji Subhas Chandra Bose Home:হরিপুরা কংগ্রেসের ভাষণ লেখা, বাগানে কচিকাঁচাদের সঙ্গে লুকোচুরি...পাহাড়ি পাকদন্ডি বেয়ে এ বাড়িতে ভেসে বেড়ায় নেতাজির স্মৃতি
Next Article
advertisement
Maharashtra Doctor Death Update: কী চলত সরকারি হাসপাতালে, কেন নিজেকে শেষ করে দিলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? বিরাট কেলেঙ্কারি ফাঁস
কী চলত সরকারি হাসপাতালে,কেন নিজেকে শেষ করলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? কেলেঙ্কারি ফাঁস
  • মহারাষ্ট্রে তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল নির্যাতিতার পরিবার৷ মৃতার এক সম্পর্কিত ভাইয়ের অভিযোগ, ওই চিকিৎসককে ময়নাতদন্তের ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করতে বাধ্য করা হত৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement