#মালদহ: মালদহে বন্যাপ্রবণ এলাকায় ফুলহার নদী ও বাঁধ থেকে দেদার বালি ও মাটি কেটে পাচার হয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে। প্রকাশ্যে দৌরাত্ম্য আন্তঃরাজ্য মাটি মাফিয়াদের। অথচ নির্বিকার পুলিশ, প্রশাসন। উল্টে মাটি মাফিয়াদের মদতের অভিযোগ উঠেছে সমাজের অনেকের বিরুদ্ধে। দিনকয়েক আগে খোদ সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন হুঁশিয়ারি দিলেও মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য কমেনি দাবি স্থানীয়দের।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে পশ্চিমবঙ্গ- বিহার সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে আন্তঃরাজ্য বালি ও মাটি মাফিয়া চক্র। বিহারের মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে জেরবার হরিশ্চন্দ্রপুরের উত্তর ভাকুরিয়া এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, স্থানীয় শাসকদলের নেতাদের একাংশের মতে প্রায় নিয়মিত ফুলহার নদীর বালি এবং নদী বাঁধ থেকে মাটি কেটে পাচার হয়ে যাচ্ছে লাগোয়া বিহারের বিভিন্ন এলাকায়। ফলে আগামী বর্ষার মরশুমে বন্যার ঝুঁকি এবং ভাঙনের ক্ষয়ক্ষতি বেশ কয়েকগুণ বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পালকিতে ৫ রাজকন্যা, ঘোড়ায় রাজপুত্ররা, গণবিবাহের আসরে 'হিট' মদন মিত্র, দেখুন...
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে ইসলামপুর পঞ্চায়েতের উত্তর ভাকুরিয়া এলাকা বন্যাপ্রবণ বলে বিশেষভাবে চিহ্নিত। ফি বছর এখানে বন্যার সমস্যা দেখা যায়। বন্যা ও ভাঙনের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এলাকায় রয়েছে ফুলহার নদীর বাঁধ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিহার থেকে মাটি মাফিয়ারা প্রত্যেকদিন এই এলাকায় ঢুকছে এবং ট্রাক্টর বোঝাই করে নদী থেকে বালি ও মাটি তুলে বিহারের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করছে। অথচ দিন কয়েক আগেই বাঁধের মাটি কেটে নেওয়ার সমস্যা নিয়ে রতুয়ায় সরকারি মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। এমনকি দুষ্কৃতীদের সঙ্গে শাসকদলের যারা জড়িত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে করার ব্যবস্থা নেওয়া কথা বলেছিলেন মন্ত্রী। অথচ বেআইনি কারবার চলছেই।
আরও পড়ুন: নাগরাকাটার চা বাগানে পড়েছিল যুবকের রক্তাক্ত দেহ! কী করে ঘটল এমন ঘটনা?
বালি ও মাটি মাফিয়াদের দৌড়াতে আতঙ্কিত নদীপাড়ের মানুষজনও। যথেচ্ছ মাটিও বালি পাচারের ফলে বিপদ বাড়ছে বলে আশঙ্কা তাঁদের। এই পাচার চক্রকে স্থানীয় শাসক দলের পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিরা মদত দিচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি, এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি জুটছে । কিন্তু, এ সব বন্ধ করা না গেলে আগামী বর্ষায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেবে। মালদা-বিহার সীমান্তে এ ভাবে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম নিয়ে শাসক দলকে বিঁধেছে বিজেপি। খোদ রাজ্যের মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেও যেভাবে চক্র সক্রিয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনায় অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ইসলামপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি হজরত আলী বলছেন, পুরো বিষয়ে দলীয় স্তরে তদন্ত করে দেখা হবে। কোনও দলীয় জনপ্রতিনিধি বে-আইনি কারবারে যুক্ত থাকলে রেহাই পাবেন না।
সেবক দেবশর্মা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda